স্থলপথে আরও একগুচ্ছ পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, ভারতের এক পদক্ষেপে বন্ধ বাংলাদেশের বাড়াবাড়ি

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলাদেশকে (Bangladesh) ফের বড় ঝটকা দিল ভারত। প্রতিবেশী দেশ থেকে আরও কিছু পণ্য স্থলপথে ভারতে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্র। এর আগেই বেশ কিছু বাংলাদেশি (Bangladesh) পণ্যের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বলা হয়েছিল, স্থলবন্দর দিয়ে একাধিক পণ্য আর ভারতে প্রবেশ করাতে পারবে না বাংলাদেশ। এবার সেই তালিকায় জুড়ল আরও বেশ কিছু পণ্য।

বাংলাদেশের (Bangladesh) পণ্যের উপরে ফের নিষেধাজ্ঞা

সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে বলা হয়েছে, পাট এবং পাট জাতীয় পণ্য যেমন বস্তা, দড়ি, ব্যাগ, ব্লিচ করা বা না করা অবস্থায় চটে বোনা কাপড়ের মতো একগুচ্ছ পণ্য স্থলপথে আর ভারতে প্রবেশ করতে পারবে না। শুধুমাত্র নভি মুম্বইয়ের নবসেবা সমুদ্রবন্দর দিয়েই এই পণ্যগুলি প্রবেশ করানো যাবে।

India banned more Bangladesh product to enter

কোন কোন পণ্যে নিষেধাজ্ঞা: এর আগেও এমন নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) পণ্যের উপরে। ওপার বাংলার বেনাপোল, বাংলাবান্ধা, সোনামসজিদ, বুড়িমারির মতো স্থলবন্দর দিয়ে এই পণ্যগুলি ভারতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। সূত্রপাত হয়েছিল গত এপ্রিল মাসে। ভারতের শুল্ককেন্দ্র ব্যবহার করে অপর কোনও দেশে পণ্য রফতানি করার যে সুবিধা, সেই ‘ট্রান্সশিপমেন্ট’ বন্ধ করে দেয় ভারত।

আরও পড়ুন : ছি ছি! প্রথম দিনেই এসি লোকাল থেকে পাকড়াও বিনা টিকিটের যাত্রী, কত টাকা পড়ল জরিমানা?

বড় পদক্ষেপ ভারতের: গত মে মাসে বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে ফল, তুলো, সুতির পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক, পিভিসিজাত পণ্য আর স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে আমদানি করা যাবে না বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল কেন্দ্র। চিন সফরে গিয়ে মহম্মদ ইউনূসের ‘সেভেন সিস্টার্স’ নিয়ে উসকানিমূলক মন্তব্যের পরেই বাংলাদেশকে (Bangladesh) উচিত শিক্ষা দিয়েছিল ভারত সরকার।

আরও পড়ুন : “যা মুখে আসবে তাই বলবেন”, অভয়ার বাবাকে আইনজীবীর চিঠি কুণালের, ক্ষমা না চাইলে মামলার হুঁশিয়ারি!

অসম, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মেঘালয়ের মতো কোনও শুল্ককেন্দ্র, পশ্চিমবঙ্গের ফুলবাড়ির মতো শুল্ককেন্দ্র দিয়ে এই ধরণের পণ্যগুলি আর ভারতে আমদানি করা যাবে না বলে বলে জানানো হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। তারপর গত জুনেও পাট, শণ জাতীয় পণ্য ওপার বাংলা থেকে এদেশে প্রবেশ আটকানো হয়। এর জেরে বাংলাদেশের উপরে চাপ বাড়তে পারে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।