বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এখন পূর্ব লাদাখে চিন সীমান্তে মোতায়েনের জন্য সেনাবাহিনীর একটি নতুন ডিভিশন তৈরি করেছে ভারত (India)। ওই বিভাগের নাম দেওয়া হয়েছে 72 Division। যেটি স্থায়ীভাবে LAC-তে মোতায়েন করা হবে।
বড় পদক্ষেপ ভারতের (India):
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, সেনাবাহিনীর বিদ্যমান ৩ টি ডিভিশনের পাশাপাশি এই নতুন ডিভিশন গঠন করা হয়েছে। যেটি সমগ্র LAC ও সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। এদিকে, অর্ডার অফ ব্যাটলে একটি বড় পরিবর্তনের অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যার মধ্যে বর্তমানে থাকা সেনাদের পুনর্নিয়োগও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। উল্লেখ্য যে, সেনাবাহিনীর যেকোনও বিভাগে একজন মেজর জেনারেলের নেতৃত্বে ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ সেনা থাকে। যেগুলির, ৩ থেকে ৪ টি ব্রিগেড থাকে। সেগুলি একজন ব্রিগেডিয়ার দ্বারা পরিচালিত হয়।
পূর্ব লাদাখে 72 Division-এর অধীনে ইতিমধ্যেই একটি ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার খোলা হয়েছে। ওখান থেকে কাজও শুরু হয়েছে। লেহ-এর ১৪ ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কর্পসের অধীনে 72 Division স্থায়ীভাবে মোতায়ন করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। বর্তমানে, এই এলাকায় একটি কাউন্টার-ইনসারজেন্সি ইউনিট ইউনিফর্ম ফোর্স রয়েছে। যারা শীঘ্রই 72 Division-এর কমান্ড হস্তান্তর করবে। জানিয়ে রাখি যে, ৮৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ LAC-তে বর্তমান উত্তেজনার মধ্যে, পূর্ব লাদাখে একটি স্থায়ী বিভাগ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
LAC-তে টহল দেওয়ার বিষয়ে গত বছর একটি চুক্তি হয়েছিল: জানিয়ে রাখি যে, গত বছরের অক্টোবরে LAC-তে টহল দেওয়ার বিষয়ে ভারত (India) ও চিনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তির অধীনে, ২০২০ সালের জুনের আগে যেমন স্বাভাবিক পরিস্থিতি ছিল সেই পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার দিকেই লক্ষ্য রাখা হয়। ২০২০ সালের জুনে গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় ও চিনা সেনাদের মধ্যে হিংসাত্মক সংঘর্ষের পর সেখানে উত্তেজনা দেখা দেয়। এমন অনেক জায়গা ছিল যেখানে টহল বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: SBI-র গ্রাহকেরা হয়ে যান সতর্ক! ১ এপ্রিল থেকেই বদলে যাচ্ছে নিয়ম, মিলবে না এই বড় সুবিধা
LAC-তে মূলত, ৫ টি জায়গায় ভারত (India) ও চিনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সেগুলি হল ডেপসাং, ডেমচোক, গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং সো এবং গোগরা হট স্প্রিং। ২০২০ সালের পর কয়েক দফা আলোচনার পরে, উভয় দেশের সেনাবাহিনী গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং সো এবং গোগরা হট স্প্রিং থেকে পিছু হটেছিল। তবে ডেপসাং ও ডেমচোকে সেনা মোতায়েন করায় সংঘর্ষের আশঙ্কা ছিল। কিন্তু এখন চুক্তির পর ভারত ও চিনের সেনাবাহিনী পাঁচটি স্থান থেকে সরে গেছে এবং এখানে আগের মতোই টহল শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রাহকেরা হন সতর্ক! AirFiber-এর নামে এইভাবে “লোক ঠকাচ্ছে” Jio-Airtel? ফাঁস আসল সত্য
এদিকে, ডেপসাং-এ টহল দেওয়া ভারতের (India) দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কারাকোরাম পাসের কাছে দৌলত বেগ ওল্ডি পোস্ট থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। পাহাড়ের মাঝে একটি সমতল এলাকাও রয়েছে। যা সামরিক কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। অন্যদিকে, ডেমচোক সিন্ধু নদের কাছে পড়ে। যেখানে চিনের নিয়ন্ত্রণ থাকলে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে জল সরবরাহে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা ছিল।