বাংলাহান্ট ডেস্ক : ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। দ্বিতীয় বার মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদে ফেরার পর থেকেই কার্যত তুর্কিনাচন দেখিয়ে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বরাবর ‘বন্ধু’ বলে আসা ভারতের (India-China) উপরে উপর্যুপরি ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন তিনি। আর তারপরেই কার্যত খেলা ঘুরতে শুরু করেছে। আমেরিকার সঙ্গে দূরত্ব বাড়তেই অন্যদিকে কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন মোড় দেখা দিয়েছে ভারত এবং চিনের। দীর্ঘদিন পর আবারও চিন (India-China) সফরে যেতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের উপরে অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোয় এবার আমেরিকার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছে চিন।
আমেরিকার বিরুদ্ধে একজোট হচ্ছে ভারত-চিন (India-China)?
ভারতে অবস্থিত চিনের (India-China) রাষ্ট্রদূতের পাশাপাশি চিনের বিদেশমন্ত্রকও ভারতের উপরে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছে। চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রকে এই শুল্ক চাপানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। রাশিয়ার থেকে তেল কেনায় ভারতের উপরে ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর বিষয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি নাম না করেই বলেন, শুল্কের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে চিন (India-China) বরাবরই বিরোধিতা করেছে।
চিনকেও নিশানা ট্রাম্পের: শুধু ভারত নয়, ট্রাম্পের শুল্ক বোমার নিশানায় আসতে পারে চিনও। সম্প্রতি এমনই সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ভারতের (India-China) মতো চিনও কি শুল্ক বাণের মুখে পড়তে পারে? উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ভারত ছাড়া আরও কয়েকটি দেশের উপরে একই ধরণের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। যার মধ্যে একটি দেশ চিন হলেও হতে পারে বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। আর তারপরেই চিনের (India-China) রোষের মুখে পড়েছে আমেরিকা।
আরও পড়ুন : কবি সুভাষের পর শহিদ ক্ষুদিরাম, ব্রিজি মেট্রো স্টেশন নিয়ে নতুন ভাবনা কর্তৃপক্ষের
আমেরিকার বিরুদ্ধে সরব বিদেশমন্ত্রক: এদিকে বুধবার ট্রাম্পের অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্কের বিরুদ্ধে সরব হয় বিদেশ মন্ত্রক। স্পষ্ট বলা হয়, জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজন অনুসারে পদক্ষেপ নেবে দেশ। এর আগে চিন (India-China) সফরে গিয়েছিলেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। কিছুদিন পর রাশিয়া সফরের কথা রয়েছে তাঁর।
আরও পড়ুন : একধাক্কায় বেতন বাড়ল ভোটকর্মীদের, খাবার খরচ বৃদ্ধি নিরাপত্তারক্ষীদেরও, SIR আবহে বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের
এই মুহূর্তে রাশিয়ায় রয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। আগামী সপ্তাহে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে ট্রাম্পের। অন্যদিকে অগাস্টের শেষেই চিনে যাওয়ার কথাও রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। এমতাবস্থায় মার্কিন শুল্কনীতিকে কেন্দ্র করে ভারত চিনের সম্পর্ক কোনদিকে মোড় নেয় সেদিকেই তাকিয়েই বিশ্বনেতারা।