বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: লখনউয়ের ব্যাটিং অযোগ্য পিচে দেখা গেল সূর্যকুমার যাদবের ভিন্ন রূপ। গোটা ইনিংসে একটিও বাউন্ডারি মারেননি, শেষে যখন ২ বলে ৩ রান বাকি তখন নিজের ইনিংসের প্রথম ৪টি মেরে ভারতের জয় নিশ্চিত করলেন স্কাই। অপরাজিত থাকলেন ৩১ বলে ২৬ রান করে। সহ অধিনায়কের সাথে পাল্লা দিয়ে ভারতকে উদ্ধার করেন অধিনায়ক হার্দিকও।
টপ অর্ডার আবার ব্যর্থ হওয়ার পরে ২০ বলে ১ টি চার সহযোগে ১৫ রান করে অপরাজিত রইলেন তিনি। কিন্তু আজকের ম্যাচের পর লখনউয়ের পিচ নিয়ে অনেক বিতর্ক তৈরি হবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। মাত্র ৯৯ রানের পুঁজি নিয়ে যেভাবে শেষ ওভার অবধি লড়াই করলো নিউজিল্যান্ড, তা হয়তো প্রশংসাযোগ্য, কিন্তু দর্শকরা এমন ম্যাচ দেখতে চান না। এরপর আহমেদাবাদে সিরিজের শেষ ম্যাচে এর চেয়ে ভালো পরিস্থিতির আশা করবেন দর্শকরা।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেও আজ ভারতীয় স্পিনারদের সামনে দাঁড়াতেই পারল না নিউজিল্যান্ডের কোনও ক্রিকেটার। হার্দিক পান্ডিয়া সঠিক বোলিং বিভাগ নির্বাচিত করতেই ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল কিউয়ি ব্যাটিং অর্ডার। গোটা ২০ ওভার ব্যাটিং করেও আজ ১০০ রানের গন্ডি ছুঁতে ব্যর্থ ব্ল্যাক ক্যাপ্সরা। ভারতের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য ছিল কেবল ১০০ রান।
আজ হার্দিক পান্ডিয়া গত দিনের ভুল সামলে মাত্র দুই নিয়মিত পেসার নিয়ে দল নামিয়েছিলেন। কিন্তু সেই দুই পেসার মিলেও মাত্র ৩ ওভার বোলিং করলেন। হার্দিক নিজে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে খরচ করলেন ২৫ রান। বিপজ্জনক ব্রেসওয়েলকে ফিরিয়েছেন তিনি। বাকি সময়টা জুড়ে চলল স্পিনারদের জয়জয়কার? দলে ফিরেই পরিচিত ছন্দে চাহাল। বল করলেন ২ ওভার। ১টি মেডেন সহ মাত্র ৪ রান দিয়ে নিলেন ১ উইকেট। কুলদীপ, ওয়াশিংটন, হুডা, কুলদীপও নিলেন ১টি করে উইকেট। সরাসরি ডেথ ওভারে বোলিং করতে এসে অর্শদীপ নিলেন ২টি উইকেট। ২০ ওভারে ৮ উইকেট খুঁইয়ে নিউজিল্যান্ডের স্কোর ৯৯। সর্বোচ্চ ১৯ রান করেন অধিনায়ক স্যান্টনার।
আজ শিবম মাভি ছাড়া প্রত্যেকেই উইকেট পেয়েছেন। মাত্র ১ ওভার বল করে ১১ রান দিয়েছেন তিনি। এরপর রান তাড়া করতে নেমে গিল ১১, রাহুল ত্রিপাঠি ১৩ রান করে স্পিনের ফাঁদে ধরা পড়েন। রান আউট হন ঈশান কিষান (১৯) ও ওয়াশিংটন সুন্দর (১০)। তবে সূর্যকুমার ও স্কাই পরিস্থিতি সামলে নেওয়ায় শেষপর্যন্ত ১ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে জয় পায় ভারত।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা