ভারতের (India) জম্মু-কাশ্মীর পূর্নগঠন নিয়ে বির্তক উঠতে শুরু হয়েছে। ইউরোপীয় সংসদ সদস্যরা জম্মু ও কাশ্মীর সফর করেছিলেন এবং সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কেও জানতে পেরেছিলেন। তার সফর শেষে ইউরোপীয় সংসদ সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন যে, জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ কর্মসংস্থান ও উন্নয়ন চায় এবং ভারত একটি শান্তিপ্রিয় দেশ। তবে ইউরোপীয় সাংসদ সদস্যদের সফরের সময় ভারতের বেশ কয়েকটি বিরোধী দলের নেতারা প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন। এখন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবিশ কুমার এ বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছেন। বিদেশমন্ত্রনালয় জানিয়েছে, কখনো কখনো দেশের হিতে বাইরের মানুষজনকে আমন্ত্রণ জানাতে হয়।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার চীন জম্মু ও কাশ্মীরের দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বিভাগকে “অবৈধ ও অর্থহীন” বলে অভিহিত করে এবং এতে আপত্তি জানায়। তবে ভারত এর প্লাটা জবাব জানিয়ে দিয়েছে। ভারত বলেছে, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ যা সম্পর্কে অন্য কোনও দেশের মন্তব্য করা উচিত নয়। ভারত বিশ্বের সব দেশকে বলা বার্তার মাধ্যমে সরাসরি চীনকে সাবধান করে দিয়েছে। চীন জম্মু ও কাশ্মীরকে দুটি ভাগে ভাগ করার উপর বিবৃতি জারি করেছে। চীন বলেছে যে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন ‘অবৈধ।
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবিশ কুমার বলেছেন, “চীন এই বিষয়ে ভারতের সুস্পষ্ট অবস্থান ভালো করেই জানে। জম্মু ও কাশ্মীরের পুনর্গঠনের বিষয়টি পুরোপুরি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। চীন সহ অন্যান্য দেশও ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করবে না বলে আমরা আশা করি!
যেমন ভারতও অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে, সেইভাবে ভারতের বিষয়েও অন্য দেশের নাক গোলানো ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে জম্মু-কাশ্মীর পূর্নগঠন নিয়ে চিনের কোনো মাথা ব্যাথা নেই, তবে শুধুমাত্র পাকিস্তানের মন রাখার জন্য এই বিবৃতি জারি করেছে। চীন এখন পাকিস্তানকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে আর্থিক শোষণ করছে আর সেটাই ঠিকমতো চালানোর জন্য বন্ধুত্বভাব দেখানোর চেষ্টা করছে।