বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার সংযুক্ত রাষ্ট্রের মহাসভায় (UNGA) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণের ১৭ মিনিট পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভাষণ দেন। নিজের ৫০ মিনিটের ভাষণে ইমরান খান ভারতের ভুয়ো এবং মনগড়া চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেন। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের বিরুদ্ধে অন্যান্য দেশ গুলোকে এক করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এই বৃথা চেষ্টা করেন। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের এই ভাষণের প্রতিক্রিয়া শনিবার বিদেশ মন্ত্রালয়ের প্রতম সচিব বিদিশা মৈত্রা কড়া জবাব দেন।
রাইট টু রিপ্লাই অনুযায়ী, বিদিশা মৈত্রা পাকিস্তানের মিথ্যের পর্দাফাঁস করেন। উনি বলেন, ইমরান খানের ভাষণে ঘৃণায় ভরা ছিল, আর ওনার প্রতিটি কথাই মিথ্যে। তিনি আন্তর্জাতিক মঞ্চের ব্যাবহার ভুল ভাবে ভারতের বিরুদ্ধে করার চেষ্টা করেছেন। পাকিস্তান সরাসরি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী লাদেনকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। পরমাণু নিয়ে দেওয়া ওনার বয়ান দ্বায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দেয়। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে বলেছিলেন, আমাদের কাছে হাতিয়ার তুলে নেওয়া আর পরমাণু হাতিয়ার ব্যাবহার করা ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই।
মৈত্রা বলেন, ‘মানবাধিকার নিয়ে বড়বড় কথা বলা পাকিস্তানকে সবার আগে পাকিস্তানে বসবাস করা সংখ্যালঘুদের অবস্থা দেখা উচিত। পাকিস্তানে থাকা সংখ্যালঘুদের সংখ্যা ২৩ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ হয়ে গেছে। ওই দেশে শিখ, ইসাই, হিন্দু, বৌদ্ধ, শিয়া, সিন্ধী, পশতুন আর বালোচদের বিরুদ্ধে ইর্শানিন্দার আইন আগু করা হয়। ওদের উপর অত্যাচার করে ওদের জোর করে ধর্মপরিবর্তন করানো হয়। পাকিস্তানের ইতিহাস কখনো ভলা যাবেনা। ১৯৭১ সালে ওরা নিজদের লোকেদেরই নরসংহার করেছিল।
#WATCH Vidisha Maitra, First Secretary MEA exercises India's right of reply to Pakistan PM Imran Khan's speech says, "Can Pakistan PM confirm the fact it is home to 130 UN designated terrorists and 25 terrorist entities listed by the UN, as of today?" pic.twitter.com/vGFQH1MIql
— ANI (@ANI) September 28, 2019
উনি বলেন, ‘বন্দুক তুলে নেওয়া মধ্যকালীন মানসিকতা দেখাচ্ছে পাক প্রধানমন্ত্রী। এক সময় ক্রিকেটার থাকা ইমরান খান জেন্টালম্যান গেমের কথা বলত, আর এখন বন্দুক উঠিয়ে যুদ্ধের কথা বলছে। ভারতের কোন নাগরিক চায়না যে, তাঁদের তরফ থেকে ইমরান খানের মতো মানুষ বলুক। কারণ তিনি ঘৃণা মনে নিয়ে নিজের দেশে সন্ত্রাসবাদের ফ্যাক্টরি বানিয়ে রেখেছে। পাকিস্তান এমন এক দেশ, যারা সন্ত্রাসবাদ আর ঘৃণাকে নিজেদের জীবনের অঙ্গ হিসেবে যুক্ত করে নিয়েছে, আজ তাঁরা মানবাধিকার আড়ালে ওয়াইল্ডকার্ডের ব্যাবহার করতে চাইছে।” ভারতের তরফ থেকে পাকিস্তানকে প্রশ্ন করা হয় যে, পাকিস্তান কি এটা স্বীকার করবে, যে তাঁরা বিশ্বের প্রথম দেশ যারা এমন এক ব্যাক্তিকে পেনশন দেয়, যে সংযুক্ত রাষ্ট্রে নিষিদ্ধ তালিকায় নিজের নাম লিখিয়েছে?