ভারতের হাতে রয়েছে ভয়ংকর অস্ত্র কালি, যার ভয়ে ভয়ভীতি হয়ে থাকে চীন, পাকিস্তান

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারত (india) ও চীনের (china) মধ্যে উত্তেজনা লাগাতার বাড়ছে, কিন্তু এর মধ্যে ভারত ও চীনের সামরিক শক্তি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে, এক্ষেত্রে এখন বেশি আলোচনা হচ্ছে তা হচ্ছে কালি, যদিও এই অস্ত্রের সম্পর্কে বিশেষ কিছু সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়নি। আর এর ভয়ে কাঁপছে দুই  দেশ পাকিস্তান ও চিন (china)। অস্ত্রের নাম কিলো অ্যাম্পিয়ার লিনিয়র ইনজেক্টর (Kilo ampere linear injector)। যাকে সংক্ষেপে ‘কালি’ নামে ডাকা হয়। ভারতীয় বিজ্ঞানীরা এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছে। আর জানা গিয়েছে এটি ব্যবহারের সাফল্য মিলেছে।

জানা গিয়ছে, ১৯৮৫ সালে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা ক্ষেপণাস্ত্র কিলো অ্যাম্পিয়ার লিনিয়র ইনজেক্টর প্রথম তৈরি করেছিলেন। তারপর থেকে শুরু হয় কীভাবে এই অস্ত্রের শক্তি বাড়ানো যায়।  প্রথমদিকে এর ক্ষমতা ০.৪ গিগাওয়াট শক্তির ইলেকট্রন স্রোত নিয়ে আঘাত হানার ক্ষমতা ছিল। তারপর ধীরে ধীরে এর শক্তিও বাড়ানো হয়। যার নতুন নামকরণ করা হয় ‘কালি-৫০০০’। যা কি না প্রচণ্ড শক্তিশালী। কালি-৫০০০ এখন ৪০ গিগাওয়াট শক্তির ইলেকট্রন স্রোত ছাড়তে পারে। ক্ষেপণাস্ত্র বা যুদ্ধবিমান ভারতের এলাকায় আঘাত হানার চেষ্টা করলে কালি তা কয়েক মিনিটে প্রতিরোধ করতে পারবে।

kali j k

ইলেকট্রন কণার তীব্র স্রোত যে কোনও ক্ষেপনাস্ত্রকে প্রতিহত করতে পারে। উত্তপ্ত কণার স্রোত বা রশ্মি তড়িৎ-চৌম্বকীয় বিকিরণে পরিণত হবে। তার পর সেই বিকিরণ মহাকাশে ছড়িয়ে থাকা মাইক্রোওয়েভের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে। সেই মাইক্রোওয়েভ বিকিরণ প্রবল আঘাত হানবে শত্রুর ছোড়া ক্ষেপনাস্ত্রে।

কালির এখন এমনই ক্ষমতা যে, মহাকাশে ভাসমান কৃত্রিম উপগ্রহকেও ধ্বংস করতে পারে অনায়াসে। তবে কালির ব্যবহারিক প্রয়োগ অনেকটা লেজার অস্ত্রের মতোই। বিশ্বের প্রতিটি উন্নত দেশের হাতেই লেজার অস্ত্র রয়েছে। কিন্তু ভারত লেজার অস্ত্র তৈরির পথে হাঁটেনি।

উল্লেখ্য, লেজার অস্ত্র থেকে নির্গত রশ্মি ক্ষেপণাস্ত্রে আঘাত করে তাতে ছিদ্র তৈরি করে। ওই ছিদ্র সেই ক্ষেপনাস্ত্রকে ধ্বংস করে। তবে এই পদ্ধতি সময় সাপেক্ষ। কালি-৫০০০ যে মাইক্রোওয়েভ বিকিরণ ছাড়বে তার সংস্পর্শে এলেই ছুটন্ত ক্ষেপণাস্ত্র ঝলসে যাবে। চোখের নিমেষে আকাশেই ধ্বংস হবে সেটি। প্রথম দিকে কালির কর্মক্ষমতা সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি। বলা হয়েছিল, শিল্পের প্রয়োজনে কালির ব্যবহারিক প্রয়োগ হবে। কিন্তু পরবর্তীকালে ভারতের সামরিক বাহিনীতে কালির অন্তর্ভুক্তি হলে প্রতিবেশি দেশ সমীহ করতে শুরু করে বলে জানা গিয়েছ।


সম্পর্কিত খবর