বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড় খবর সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, প্রথমবারের মতো ভারতীয় শেয়ার বাজার (Indian Share Market) হংকংকে (Hong Kong) পেছনে ফেলেছে। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুসারে সোমবার ভারতীয় এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত স্টকের সম্মিলিত মূল্য ৪.৩৩ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। যেখানে, হংকংয়ের এই সংখ্যা হল ৪.২৯ ট্রিলিয়ন ডলার। এর ফলে, ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ইকুইটি বাজার হয়ে উঠেছে।
খুচরো বিনিয়োগকারীরা বাজারে টাকা ঢেলেছে: উল্লেখ্য যে, অভ্যন্তরীণ বাজারের বাজারমূল্য গত ৫ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো ৪ ট্রিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। এর মধ্যে গত চার বছরে এসেছে প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ডলার। ক্রমবর্ধমান খুচরো বিনিয়োগকারী ভিত্তিক এবং শক্তিশালী কর্পোরেট আয়ের কারণে ভারতে ইক্যুইটিগুলি দ্রুত বাড়ছে। এর মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারত এখন চিনের বিকল্প হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। শুধু তাই নয়, ভারতীয় বাজার এখন বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারী এবং কোম্পানির কাছ থেকে নতুন পুঁজিকেও আকৃষ্ট করছে।
কিভাবে স্পর্শ হল এই মাইলফলক: এই প্রসঙ্গে অ্যাক্সিস মিউচুয়াল ফান্ডের মুখ্য বিনিয়োগ আধিকারিক আশিস গুপ্ত জানিয়েছেন, “ভারতে বৃদ্ধির গতি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এখন সমস্ত কিছু ঠিক রয়েছে।” মূলত, ভারতীয় শেয়ারের ক্রমাগত বৃদ্ধি এবং হংকংয়ের ঐতিহাসিক পতন ভারতকে এই অবস্থানে নিয়ে গেছে।
এখন ভারত বিশ্বের প্রগতির ইঞ্জিন হয়ে উঠবে: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, বেজিংয়ের কঠোর কোভিড-19 বিধিনিষেধ, কর্পোরেশনগুলির ওপর নিয়ন্ত্রক পদক্ষেপ, প্রোপার্টি সেক্টরে সঙ্কট এবং পশ্চিমের সাথে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বিশ্বের বৃদ্ধির ইঞ্জিন হিসেবে চিনের আশাকে শেষ করেছে। শুধু তাই নয়, চিনা এবং হংকং স্টকের মোট বাজার মূল্য ২০২১ সালে তাদের শীর্ষ থেকে ৬ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কমে গেছে।
মর্যাদা হারাচ্ছে হংকং: এদিকে, হংকং-এ কোনো নতুন লিস্টিং হচ্ছে না। যার ফলে হংকং IPO হাবের জন্য বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত স্থান হিসাবে তার অবস্থান হারাচ্ছে। তবে, কিছু বিশেষজ্ঞ এই বিষয়ের পরিবর্তনের জন্য আশাবাদী। নভেম্বরের একটি রিপোর্ট অনুসারে, এই প্রসঙ্গে ইউবিএস গ্রুপ এজি মনে করছে যে, চিনা শেয়ারগুলি ২০২৪ সালে ভারতীয় সমকক্ষদের তুলনায় ভালো প্রদর্শন করবে।
আরও পড়ুন: ভারতেই রয়েছে বিপুল সোনার ভাণ্ডার! পরিসংখ্যানে হেরে গেল ব্রিটেন-আরবও, সামনে এল বড় তথ্য
এই মাসের শুরুর দিকের একটি নোট অনুসারে, বার্নস্টেইন চিনা বাজারের উন্নতির আশা করেছে। উল্লেখ্য যে, হ্যাং সেং চায়না এন্টারপ্রাইজেস ইনডেক্স যেটি হংকং-এ তালিকাভুক্ত চিনা স্টকগুলির একটি পরিমাপ হিসেবে বিবেচিত হয়, সেটি ২০২৩ সালে চার বছরের রেকর্ড পতন থামানোর পরে ইতিমধ্যেই প্রায় ১৩ শতাংশ কমে গেছে। যেখানে, ভারতের বেঞ্চমার্ক ইনডেক্স সেনসেক্স এবং নিফটি রেকর্ড-উচ্চ স্তরের কাছাকাছি লেনদেন করছে।
আরও পড়ুন: ধোনি কিংবা কোহলি নন, এই খেলোয়াড়ই রিঙ্কুকে দিতেন ক্রিকেটের কিট, নাম জানলে অবাক হবেন
পাশাপাশি, লন্ডনে স্থিত থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক অফিসিয়াল মনিটারি অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন ফোরামের সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুসারে, বিদেশি ফান্ড ২০২৩ সালে ভারতীয় ইক্যুইটিতে ২১ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে। যার ফলে দেশের বেঞ্চমার্ক এসএন্ডপি বিএসই সেনসেক্স সূচকে টানা অষ্টম বছরে বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়তা মিলেছে।