বাংলাহান্ট- সারা বিশ্ব জুড়ে এখন একটাই আতঙ্ক করোনা. যার জেরে মানুষ আপাতত গৃহবন্দী। করোনা থেকে বাঁচার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত।
একমাত্র ভারত এখনও পর্যন্ত খুব সতর্কভাবে এই রোগের মোকাবিলা করে যাচ্ছে। কিন্তু প্রায় ১৪ দিন কোয়ারেনটাইন করে রাখার ভয়ে অনেকেই চিকিৎসা করাচ্ছে না। কিন্তু এই এতোকিছু সমস্যা পেড়িয়েও ভারত এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে কঠোরভাবে এই রোগের মোকাবিলা করে চলেছে। স্টেজ থ্রি যাতে না হয় তার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে । করোনার ভাইরাসের হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে ভারত প্রতিনিয়ত কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত । এখন WHO সরাসরি ভারতকে এই করোনার বিরুদ্ধে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান করেছে।
যদিও অনেকগুলি রাজ্য পুরোপুরি লকডাউন করা হয়েছে, তবুও অনেক রাজ্যে কারফিউ লাগু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভারতের প্রশংসাও করেছে। এখনও পর্যন্ত করোনাতে প্রায় ১৪, ৪৯১ জন মারা গেছে। আর এই অবস্থায় প্রায় ১ লাখ ৩৭৭ জনকে নিরাময় করা হয়েছে। সতর্কতা হিসাবে, ভারত সহ বিশ্বের অনেক দেশ ইতিমধ্যে লক ডাউন করা হয়েছে। যাতে কেউ আসতে না পারে আর যেতে না পারে তার জন্য কঠোর আইন নেওয়া হয়েছে।
🏥WHO backs India to take aggressive action against #COVID19
"Through its targeted public health interaction, India ended Small Pox & Polio & gave a great gift to the world.
🇮🇳 should lead the way & show the 🌎 what can be done & do as they have done before" 💬@DrMikeRyan pic.twitter.com/VKAUh3PSuU
— Piyush Goyal (@PiyushGoyal) March 24, 2020
ভারতের কথা বললে এখানে করোনার ৪৫১ টি মামলা হয়েছে। এই সংক্রমণে 9 জন মারা গেছে। মহামারীটি সবেমাত্র দ্বিতীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে ভারতে। ভারত সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে যাতে এই রোগ তৃতীয় পর্যায়ে না যায়।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাইকেল জে রায়ান তিনি বলেছিলেন, “চীনের মতো ভারতও একটি বিশাল জনসংখ্যার দেশ। করোনার ভাইরাসের সুদূরপ্রসারী পরিণতি নির্ভর করবে বিশাল জনগোষ্ঠীযুক্ত দেশগুলি কী পদক্ষেপ নেয়। জনস্বাস্থ্যের স্তরে ভারত আগ্রাসী সিদ্ধান্ত গ্রহণ অব্যাহত রাখা খুব জরুরি। ”ইতিমধ্যে ইতালিতে রোজ শয়ে শোয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে দেশের ডাক্তার এবং প্রশাসনের চেষ্টা ২৪ ঘন্টা জারি রয়েছে। সারাদেশে চিকিত্সা পরিষেবা আরও জোরদার করা হয়েছে। সর্বত্র হাসপাতালে এর জন্য বিচ্ছিন্নতা ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে।
করোনার ভাইরাস সংকট মোকাবেলা করার দক্ষতা প্রদান করে রায়ান বলেছিলেন যে আমরা বিশ্বাস করি যে ভারতের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। ডাব্লুএইচও বলেছে যে ভারতের লড়াইয়ের নেতৃত্ব দেওয়া উচিত এবং কী হওয়া উচিত এবং কীভাবে করা যায় তা দেখানো উচিত। আর এই চরম পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পাশে দাড়ালো জাতি সংঘ ।
জাতিসংঘের সেক্রেটারি-জেনারেল অ্যান্টোনিও গুতেরেস করোনার ভয়াবহতার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বকে শান্তি দেখাতে বলেছেন। তিনি বলেছিলেন, “আমি বিশ্বের সব কোণে অবিলম্বে বৈশ্বিক যুদ্ধবিরতি আহ্বান করছি। WHO বলেছে ভারত এর আগে পক্স ও পোলিও এর বিরুদ্ধে বিশ্বকে রাস্তা দেখিয়েছে এবার করোনার বিরুদ্ধেও রাস্তা দেখাক