এবার জলপথে চীনের দাদাগিরি শেষ! পাশে দাঁড়াল জার্মানি, ভারত পাচ্ছে ৬টি মারাত্মক ডুবোজাহাজ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দেশের (India) সামরিক ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। যার ফলে ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করছে সেনা। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এবার ভারতীয় নৌসেনার জন্য জার্মানির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ৫২০০ কোটি ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ৬ টি ডুবোজাহাজ তথা সাবমেরিন বানানো হবে।

ইতিমধ্যেই সরকারি সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার দিল্লিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াসের উপস্থিতিতে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সইয়ের বিষয়ে আলোচনা চূড়ান্ত হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে যে, ২০২১ সালের জুন মাসে রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে সমরাস্ত্র ক্রয় সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাসম্পন্ন ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল (Defense Acquisition Council) -এর বৈঠকে “মেক ইন ইন্ডিয়া” প্রকল্পের ওপর ভর করে কৌশলগত অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে নৌসেনার জন্য মোট ৬ টি ডুবোজাহাজ নির্মাণের প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুধু তাই নয়, পরবর্তীকালে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভার তরফেও এই প্রস্তাবে চূড়ান্ত সিলমোহর দেওয়া হয়েছিল। এমতাবস্থায়, দীর্ঘ আলোচনার পরে এবার নয়াদিল্লি, জার্মানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই ডুবোজাহাজগুলি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, প্রায় দেড় দশক আগেই ফরাসি সংস্থা DCNS-এর সঙ্গে নকশা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা চুক্তির ভিত্তিতে মোট ৬ টি কলভরি গোত্রের স্করপেন ডুবোজাহাজ বানানোর কাজ শুরু করেছিল ভারত। যেই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছিল “প্রজেক্ট ৭৫”। এদিকে, ২০১৫ সালের অক্টোবরে নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল ওই গোত্রের প্রথম স্টেলথ ডুবোজাহাজ আইএনএস কলভরিকে। পাশাপাশি, ২০২০-র নভেম্বরে এই গোত্রের শেষ ডুবোজাহাজটি নৌসেনার হাতে তুলে দেওয়া হয়।

story of the day submarine

এদিকে, এর আগে ভারতীয় নৌসেনা জার্মানির কাছ থেকে শিশুমার শ্রেণির মোট ৪ টি ডিজেল-বিদ্যুৎ সাবমেরিন কিনেছিল। এমন পরিস্থিতিতে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর অনুযায়ী, এইবারও মুম্বইয়ের মাঝগাঁও ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেডে জার্মানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ডিজেল-বিদ্যুৎ সাবমেরিন তৈরি হবে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর