বাংলাহান্ট ডেস্ক : একটা সময় স্বল্প দূরত্ব এবং মাঝারি পার্লার পারমাণবিক অস্ত্র (Indians Nuclear Power) তৈরিতে বেশি মন দিয়েছিল ভারত (India)। তবে বর্তমানে সময় বদলেছে। এখন দূরপাল্লার পারমাণবিক অস্ত্রের দিকেও নজর দিতে শুরু করেছি আমাদের দেশ। সুইডিশ থিংক ট্যাংকের দাবি, সীমান্তর দুদিক থেকেই আসতে শুরু করেছে চাপ। আর তাই নিজেদের সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেছে ভারত।
ক্রমশই অস্ত্রভান্ডার বাড়িয়ে চলেছে ভারত এবং পাকিস্তান (Pakistan)। বিগত এক বছরে ভারতের অস্ত্র ভান্ডারে চারটি পারমাণবিক অস্ত্র সংযোজন হয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের ভাণ্ডারে জায়গা পেয়েছে পাঁচটি নয়া পারমাণবিক অস্ত্র।
সম্প্রতি ভারতীয় সামরিক বাহিনীর অস্ত্রাগারে স্থান পেয়েছে অগ্নি প্রাইম। জানা যাচ্ছে, এই মিসাইলটি ২০০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত যে কোন লক্ষ্যবস্তুকে খুব নিখুঁতভাবে ধ্বংস করতে পারে। প্রায় ২৫ বছর ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলার পর অবশেষে ভারতীয় সামরিক বাহিনীতে জুড়েছে অগ্নি প্রাইম মিসাইল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পারমাণবিক শক্তি অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে অগ্নি প্রাইম মিসাইল ভারতীয় সামরিক বাহিনীতে যোগ হওয়ার পর। উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে ভারতের প্রথম পরমাণু বোমা ব্যবহার করার নীতি গৃহীত হয়। পাকিস্তান এবং চীনের (China) হামলার হাত থেকে বাঁচতে এবং দেশকে সুরক্ষিত রাখতে এই পরমাণু অস্ত্রর বড় ভূমিকা রয়েছে।
ভারতের পারমাণবিক বোমা বহনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হল অগ্নি সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলি। পাকিস্তানের উপর ফোকাস করে ৭০০ কিলোমিটার রেঞ্জের অগ্নি ১ তৈরি করেছিল ভারত। ২০০০ কিলোমিটার রেঞ্জের অগ্নি ২ তৈরি করা হয়েছিল পাকিস্তানের ওপর ফোকাস করেই। ৩০০০ কিলোমিটার রেঞ্জের অগ্নি ৩, এছাড়াও ৪০০০ কিলোমিটার রেঞ্জের অগ্নি ৪ এবং ৫০০০ কিলোমিটার রেঞ্জের অগ্নি ৫ তৈরি করেছে DRDO। আর এই সিরিজেরই নয়া সংযোজন অগ্নি প্রাইম।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা বিশ্বজুড়ে মোট ৯ টি পরমাণু শক্তিধর দেশ রয়েছে। এরমধ্যে একদিকে যেমন দূর পাল্লার মিসাইল তৈরিতে মন দিয়েছে চীন তেমনি ভারতও মন দিয়েছে দূরপাল্লার মিসাইল তৈরিতে। রিপোর্ট অনুযায়ী, খুব শীঘ্রই আইসিবিএম বা আন্ত মহাদেশ পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যায় আমেরিকাকে ছুঁয়ে ফেলতে পারে ভারতের শত্রু দেশ চীন।