এক বছরের মধ্যেই চীনকে টপকে বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যার দেশ হবে ‘ভারত”! দাবি রাষ্ট্রসংঘের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সোমবার প্রকাশ পেয়েছে জনসংখ্যা বিষয়ক রাষ্ট্রসঙ্ঘের একটি রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে আগামী এক বছরের মধ্যে বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যার (Population) দেশে পরিণত হবে ভারত (India)। হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন। আর মাত্র এক বছর। ২০২৩ সালের মধ্যেই চীনকে (China) টপকে সর্ববৃহৎ জনসংখ্যার দেশ হিসেবে পহেলা নম্বরে জায়গা করে নেবে ভারত। রাষ্ট্রসংঘ থেকে প্রকাশিত “দ্যা ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্ট” এ এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। এই রিপোর্টে দাবী করা হয়েছে এই বছর নভেম্বর মাসে বিশ্বে মোট জনসংখ্যার পরিমাণ ৮০০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।

রাষ্ট্রসংঘ থেকে প্রকাশিত হওয়া এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে জনসংখ্যায় চীনকে টপকে যাবে ভারত। ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার চীনের থেকে অনেকটাই বেশি। ভারতের পাশাপাশি গোটা দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেই বৃদ্ধি পেয়েছে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার। রাষ্ট্রসঙ্ঘের হিসাব অনুযায়ী, গোটা বিশ্বের ২৯ শতাংশ মানুষই বসবাস করেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে। ২৬ শতাংশ মানুষ থাকেন পূর্ব এশিয়াতে।

   

রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রকাশিত এই রিপোর্টে যে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে ভারতের তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রতিদিন যে হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান নিয়ে রীতিমত সংঘর্ষ করতে হচ্ছে ভারতকে। ক্রমে কমে আসছে চাষ যোগ্য জমি। অতিরিক্ত জনবিস্ফোরণ যে অদূর ভবিষ্যতে ভারতে খাদ্য সংকট ডেকে আনবে তার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। দ্রুত আর্থিক উন্নতির সাথে সাথে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ভারতের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। “এক সন্তান নীতি” প্রয়োগের মাধ্যমে জনসংখ্যা অনেকটা আয়ত্তে আনতে পেরেছে চীন। কিন্তু ভারতের মত নানা মত নানা পরিধান দেশে এই প্রকার নীতি কার্যকর করা খুবই মুশকিল।

Population

এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, দ্রুত বৃদ্ধি হওয়া জনসংখ্যার দেশ গুলি অধিকাংশই দারিদ্র্য। জনসংখ্যার সাথে সামঞ্জস্য রেখে খাদ্য, শিক্ষা,স্বাস্থ্য, বাসস্থান সৃষ্টি করাতে অসুবিধার মুখে ফেলে দিচ্ছে দেশকে।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর