বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীন (Chaina) থেকে শুরু হয়ে মারণরোগ করোনা ভাইরাস (COVID-19) ইতালি, আমেরিকা এবং জার্মানিসহ বিভিন্ন বড়ো দেশকে নিজের জালে জড়িয়ে নিয়েছে। ইতালি পরিণত হয়েছে মৃত্যুপুরীতে। ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ইতালিতে। অপরদিকে বর্তমানে আমেরিকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। ভারতেও (India) ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও অবধি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৭০০ এবং মৃতের সংখ্যা ৪৯।
করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ভারত প্রথম থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করেছিল। লকডাউন অবস্থা জারি করে হয়েছে অনেকদিন ধরেই এবং চলবে আগামী ১৪ ই এপ্রিল অবধি। করোনা মোকাবিলায় ভারতের থেকে সাহায্য চেয়েছে বহু দেশ। এবং ভারতও তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ও এই ব্যাপারে ভারতের অনেক প্রশংসা করেছে।
করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধের জন্য ভারতের কাছে এখন প্রায় ১১ লক্ষ ৯৫ হাজার N95 মাস্কের স্টক রয়েছে। গত তিনদিনে ৬ লক্ষেরও বেশি মাস্ক বিক্রি হয়েছে। এমনকি ভারতের দুই সংস্থা প্রতিদিন ৫০ হাজার করে N95 মাস্ক প্রস্তুত করে চলেছে। তবে পরবর্তী সপ্তাহে এই উৎপাদন ১ লক্ষেরও বেশি হয়ে যাবে। DRDO পরবর্তী সপ্তাহ থেকে প্রতিদিন ২০ হাজার করে N99 মাস্ক উৎপাদন করবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রালয়ের তরফে বলা হয়েছে, দেশের হাসপাতালে এখনও অবধি ৩ লক্ষ ৩৪ হাজার PPE মজুত আছে। দেশেও ১১ টি সংস্থা PPESK প্রস্তুত করছে। তাদেরকে ২১ লক্ষ PPESK অর্ডার দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন তাঁরা ৬-৭ হাজার যোগান দেবে।
ভেন্টিলেটরের ক্ষেত্রেও সরকারী মন্ত্রালয় জানাচ্ছে, নয়ডার এগওয়া হেলথ কেয়ারকে প্রতি মাসে ১০ হাজার করে ভেন্টিলেটর প্রস্তুত করার অর্ডার দেওয়া হয়েছে। ভারত ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেডের তরফ থেকে আগামী ২ মাসে স্থানীয় উৎপাদকের সাথে মিলিতভাবে ২০ হাজার ভেন্টিলেটর বানানোর কথা হয়েছে। অন্যদিকে ভারতীয় অটোমোবাইলস নির্মাতার ভেন্টিলেটরস উৎপাদনের দিনে নজর দিচ্ছে। আবার DRDO ভেন্টিলেটর বানানোর কথাও বলেছে।