বাংলাহান্ট ডেস্ক : পর্যটকদের জন্য সুখবর। রেলপথে যুক্ত হতে চলেছে সেবক-সিকিম। একেবারে চিন সীমান্তের নাথু লা অবধি যাবে এই রেল পথ। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেটে এই প্রকল্পের দিকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্র। এতে সীমান্ত সুরক্ষার দিকে বাড়তি নজর রাখা যাবে। আগামী অগষ্ট মাসের মধ্যেই এই রেলপথ সংক্রান্ত সমীক্ষার প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হবে বলে জানা যাচ্ছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে।
এই রেলপথের শিলান্যাস করেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০০৯ সালের ৩০ অক্টোবর। দীর্ঘদিন ধরেই আটকে রয়েছে এই প্রকল্পটি। তবে এবার সেবক থেকে রংপো অবধি রেলপথ বসানোর কাজ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করার কথা জানিয়েছেন রেল। চলতি বাজেটে এই প্রকল্পটির জন্যই বরাদ্দ করা হয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এতদিনেও পুরো প্রকল্পটির মাত্র ২৯%ই শেষ করা সম্ভব হয়েছে।
সিকিম- চিন সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও বেশি জোর দিতে চায় কেন্দ্র। কিন্তু সেনা সরবরাহ সীমান্ত অবধি পৌঁছানোর জন্য রেল পরিষেবা কার্যতই অপরিহার্য হয়ে উঠছে। বৃহস্পতিবার উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার অংশুল গুপ্তা জানান, ‘শীঘ্রই রংপো গ্যাংটক অবধি সমীক্ষার কাজ শুরু হবে। তার পরের ধাপে নাথু-লা অবধি সমীক্ষার কাজ শুরু করা হবে’, সেবক-রংপো রেলপথ বসানোর কাজ প্রায় শেষের পথে বলেও জানান তিনি।
সেবক থেকে রংপোর রেলপথের বেশিরভাগটাই থাকবে জাতীয় সড়কের থেকে দূরে। পুরো পথটিতে থাকছে ১৪ টি টানেল। এর মধ্যের সবচেয়ে লম্বা টানেলটি তারখোলার কাছে রয়েছে। এটির দৈর্ঘ্য ৫.৩ কিলোমিটার। সেবক থেকে রংপো অবধি থাকবে ৫টি স্টেশন। সেবকের পরের স্টেশনটির নাম রিয়াং। তারপর তিস্তা, তারপর মল্লি, এরপর একেবারে শেষে রংপো। ৪৫ কিলোমিটার লম্বা প্রকল্পটির ৪১ কিলোমিটার দার্জিলিং এ এবং মাত্র ৪কিলোমিটার সিকিমে পড়বে।
এই রেলপথ তৈরি হলে তা যেমন পর্যটন শিল্পের দিশা বদলে দেবে, তেমনই সিকিম-চিন সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও অনেক খানি সুবিধা হবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। উত্তর-পূর্বে তাই বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরের পর এবার নাথু-লা অবধি রেলপথের দিকের নজর দিতে চায় কেন্দ্র।