বাংলাহান্ট ডেস্কঃ অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে (India) করোনা (COVID-19) সংক্রমণের হার অনেক কম। সুস্থ হচ্ছেন সিংহভাগ মানুষ। আক্রান্তদের মধ্যে ১৩.০৬ শতাংশ মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। প্রায় ৮০ শতাংশ হাসপাতালে সংক্রমিত মানুষজন সুস্থতার দিকে এগোচ্ছেন। এমনকি মৃতের সংখ্যাও আগের তুলনায় অনেক কমেছে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ২৩।
করোনা ভাইরাসের কারণে যখন অন্যান্য দেশ ধরাশায়ী হয়ে পড়ছে, তখন ভারতে কিন্তু এই রোগের সংক্রমণ আগের তুলনায় অনেকটাই সামলে এসেছে। ভারত সরকার নরেন্দ্র মোদী এই ভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণ আচ করতে পেরে প্রথম থেকেই লকডাউনের উপর জোর দিয়েছেন। প্রথম দফা লকডাউন শেষ হওয়ার আগেই, আবার আগামী ৩ রা মে অবধি দ্বিতীয় দফা লকডাউনের ঘোষণা করে দিয়েছেন। যার ফলে এখন কিছুটা হলেও কমছে সংক্রমণের হার। এবং এর পাশাপাশি সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগের ফলেও মৃতের সংখ্যাও হ্রাস পাচ্ছে, সুস্থ হচ্ছেন বেশিরভাগ মানুষই।
এই পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয় থেকে জানানো হয়েছে, লকডাউনের ফলে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের পরিষেবায় কোন সমস্যা নেই। মানুষজন সঠিকভাবে লকডাউন পালন করছে। ICMR -এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, করোনা টেস্ট এখন আরও দ্রুত গতিতে হচ্ছে। প্রায় ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষকে করোনা টেস্ট করা হয়েছে। একদিনে ২৮৩৪০ জনকে করোনা টেস্ট করা হয়েছে। যার মধ্যে ২৩৯৩২ জনের পরীক্ষা ICMR- এর ১৮৩ টি ল্যাবে করা হয়েছে। ৪৪০৮ জনকে প্রাইভেট ল্যাবে টেস্ট করা হয়েছে।
ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে এবং মৃতের সংখ্যা ৪৪৮ জন। তবে এই অবস্থায় রাজ্যের জন্য ৫ লক্ষেরও বেশি র্যাপিড টেস্ট কিটের জোগান দেওয়া হচ্ছে। শোনা গিয়েছে এবার থেকে মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই করোনা টেস্ট করা যাবে। ইতিমধ্যেই প্রায় ১৯৯৯ টি কোভিদ-১৯ হাসপাতালের ব্যবস্থা করা হয়েছে সমগ্র ভারতে। যার মধ্যে ১ লক্ষ ৭৩ হাজার আইশোলেশন বেড, ২১ হাজার ৮০০ ICU বেড রয়েছে। সরকারী ভাবে জানানো হয়েছে তারা সবরকম ভাবে নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছে।