পাকিস্তানের হুমকি পাচ্ছে না পাত্তা! চন্দ্রভাগায় বাঁধের কাজে উদ্যোগী ভারত

Published on:

Published on:

India is working on the Chandrabhaga dam project.

বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারত (India) ফের সক্রিয় ভাবে এগোচ্ছে সিন্ধুর উপনদী চন্দ্রভাগার সাওয়ালকোট এলাকায় বাঁধ ও ১৮৬৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা চালানোর বিষয়ে — এবং চলতি সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের বিশেষজ্ঞ কমিটি এ বিষয়ে বৈঠকে বসছে বলে জানা গেছে।

চন্দ্রভাগায় বাঁধ দিতে তৎপর ভারত (India)

ভারতের (India) তরফে আশির দশকে এই প্রকল্পের প্রস্তাবনা পুনরায় দ্বিতীয়বারের জন্য প্রস্থাপন করা হয়েছিল। আসলে সাওয়ালকোটে চন্দ্রভাগা নদীর ওপর এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ধারণা ১৯৬০-এর কাছাকাছি থেকেই রয়েছে, পরে ১৯৮৪ সালে কেন্দ্রীয় উদ্যোগ নেওয়া হলেও কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্ব ও কূটনৈতিক জটিলতার কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি — এবার ফের পরিবেশ বিষয়ক ছাড়পত্র ও বন উপদেষ্টা কমিটির সম্মতি প্রয়োজনীয়তার প্রেক্ষাপটে কাজ শুরু করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন:পঞ্চমীর দিনে সোনার দামে বড় চমক, জেনে নিন ১ গ্ৰাম হলুদ ধাতুর দর কত?

এখানে চিত্রপট হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি আছে তা হল, ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি অনুসারে চন্দ্রভাগা নদ ও তার পশ্চিম তীরের উপনদীগুলোর জল পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ। সাধারণত চুক্তি অনুযায়ী কোনো বাঁধ বা নির্মাণ কাজ শুরু করার কমপক্ষে ছয় মাস আগে অপর রাষ্ট্রকে জানানো বাধ্যতামূলক। তবে গত কয়েক মাসে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই ভারত ওই চুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ভারতের (India) এই পদক্ষেপে কূটনৈতিক ও কৌশলগত বিবেচনাই প্রধান ভূমিকা নিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ভারতের (India) এই উদ্যোগকে ঘিরে পাকিস্তান ইতিমধ্যেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। দেশটির উচ্চপদস্থ নেতারা, প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ, বলেছে যে যদি ভারতের কোনও চেষ্টায় তাদের ‘অংশপ্রাপ্ত’ জল আটকে দেওয়া হয় তা চুক্তি লঙ্ঘন হিসেবে দেখা হবে এবং যে কোনও নির্মাণ ধ্বংস করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের তরফে। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের এভাবে সামরিক ও রাজনৈতিক বলপ্রয়োগের হুমকি এই প্রকল্পকে এক কূটনৈতিক সঙ্কটের দিকে পরিচালিত করেছে।

India is working on the Chandrabhaga dam project

আরও পড়ুন:পুজোয় বাড়িতে আসা অতিথিদের জন্য সামান্য কিছু উপকরণ দিয়ে বানান ক্ষীরমোহন, রইল রেসিপি

অন্যদিকে ভারত (India) সরকারের তরফ থেকে পরিবেশ, বিদ্যুৎ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পর্যায়ের অনুরোধ ও সমন্বয়ের ভিত্তিতে বন উপদেষ্টা কমিটি এবং বিশেষজ্ঞ দলগুলি প্রকল্পের পরিবেশগত ও প্রযুক্তিগত দিকসমূহ পর্যালোচনা করছেন। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিবদের তরফে ওই দফতরে চিঠিও পাঠানো হয়েছে । পরবর্তী বৈঠকে যদি পরিবেশ কমিটির সুপারিশ হয়, তা হলে প্রকল্পে দ্রুতগতিতে এগোনোর রানও প্ল্যান করা হবে—তবে কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও চুক্তি-প্রাসঙ্গিক আইনি জটিলতাগুলো মুলতঃ তার সম্মুখীন থাকবে।

সংক্ষিপ্তভাবে বলতে গেলে, পহেলগাঁও কাণ্ড পরবর্তী নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক কনটেক্সটে নয়াদিল্লি (India) সিন্ধু উপনদীর ওপর জলবিদ্যুৎ ক্ষমতা বাড়ানোর প্রচেষ্টায় আরও তৎপর হয়েছে; একই সঙ্গে এটি ভারত-পাক সম্পর্ক ও আঞ্চলিক পানি-বণ্টন কাঠামোর জন্য একটি নতুন দ্বন্দ্বের কারণও হয়ে দাঁড়াতে পারে।