শুধু স্থল নয়, সমুদ্রেও যথেষ্ট শক্তিশালী ভারত (india)। আরব সাগরে নামা নতুন ডুবো জাহাজ (submarine) চীন (china) সহ শত্রুদের জন্য এমনই বার্তা দিল। উন্নত অ্যাকোস্টিক শোষণ প্রযুক্তির মতো উচ্চতর স্টিলথ বৈশিষ্ট্যযুক্ত, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ মুম্বাইয়ের মাঁঝগাও ডক থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে সমুদ্রে নামানো হল
প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রীপদ নায়েকের স্ত্রী বিজয়া ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সাবমেরিনটির উদ্বোধন করেন। ভগির ভারতে কালভারি-শ্রেণীর সাবমেরিনের একটি অংশ। ফরাসী নৌ প্রতিরক্ষা এবং ডিসিএনএস-এর ডিজাইন করা সাবমেরিনগুলি ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রকল্প -৭৫ অংশ হিসাবে তৈরি করা হচ্ছে
এই সাবমেরিন যেমন নিঃশব্দে শত্রুপক্ষের চলাফেরা অনুসরণ করতে পারে তেমনই মুহুর্তে ধ্বংস করে দিতে পারে রণতরীও। ভারত মহাসাগরের গভীরে বসবাসকারী এক শিকারি সামুদ্রিক মাছের নামের অনুসরণ করে এই ডুবো জাহাজটির নাম রাখা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরে চীনের রণতরী গুলির বিরুদ্ধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এই ডুবো জাহাজ।
ডিজেল ও বিদ্যুৎ চালিত এই সাবমেরিন লম্বায় ৬৭ মিটার, চওড়া প্রায় সাড়ে ৬ মিটার। ওজন ২ হাজার টন। জলের তলদেশে যুদ্ধ বা গোপনে শত্রুর ওপর নজর রাখার জন্য এই সাবমেরিনে রয়েছে অত্যন্ত উন্নত প্রযুক্তি। এক লহমায় জাহাজ ধ্বংস করার মতো ক্ষমতা যেমন এই সাবমেরিনের রয়েছে তেমনই এই ডুবো জাহাজ ছুঁড়তে পারে টর্পেডোও।
তবে অস্ট্রেলিয়ান এক সংবাদপত্র বেশ কিছুদিন আগেই এই ডুবো জাহাজের যুদ্ধ ক্ষমতা ও প্রযুক্তি ফাঁস করে দিয়েছিল যা বেশ উদ্বেগের।