বাংলা হান্ট ডেস্ক : পড়শি দেশ মলদ্বীপের (Maldives) সাথে ভারতের সম্পর্কের টানপোড়ন চলছে বেশ কিছু সময় ধরেই। মহম্মদ মুইজ্জুর (Mohamed Muizzu) সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মলদ্বীপ এবং ভারতের (India) সম্পর্ক তলানিতে নেমেছে। ‘India Out’ ক্যাম্পেইন করে ভোটে জেতা মুইজ্জুর প্রতিটি পদক্ষেপ তিক্ততা বাড়িয়েছে দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্কে। সম্প্রতি মুইজ্জু সরকার এমন এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা সম্পর্কের মধ্যেকার শীতলতা আরো বাড়াতে চলেছে।
উল্লেখ্য যে, ভারত সরকার মলদ্বীপকে কয়েকটি হেলিকপ্টার উপহার স্বরূপ দেয়। এতদিন সেগুলোর দেখাশোনা থেকে মেরামত করার জন্য মলদ্বীপে কয়েকজন সেনা মোতায়েন থাকত। কিন্তু এবার খবর আসছে সেই হেলিকপ্টার এবং চালক-কর্মীদের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে মলদ্বীপের সেনাবাহিনীর হাতে। মলদ্বীপের সেনাবাহিনীর তরফে এমন কথাই জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মলদ্বীপের জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী বা MNDF এর প্রধান ডিরেক্টর কর্নেল আহমদ মুজতবা মহম্মদ সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন যে, মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনার প্রত্যাহারের আলোচনা চলছে এবং আগামী ১০ মের পর কোনো বিদেশী সেনাকে মলদ্বীপে থাকতে দিতে নারাজ তারা। তিনি এও উল্লেখ করেন যে, ভারতের অসামরিক নাগরিক এবং হেলিকপ্টারেরগুলির নিয়ন্ত্রণ করবে MNDF।
আরও পড়ুন : ভোটের মুখে বড় খবর, প্রায় ১২ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ! এইদিন থেকে শুরু আবেদন
এদিকে গত সপ্তাহেই ভারত জানিয়ে দেয় যে, মলদ্বীপে যে হেলিকপ্টার রয়েছে তার দেখভাল করার জন্য সেনার বদলে প্রযুক্তিবিদদের পাঠানো হবে। মূলত সেই পদক্ষেপেরই প্রতিরোধ করে মুইজ্জু সরকার। সংবামাধ্যমের সাথে আলোচনার আগে এক জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় মুইজ্জু বলেন, ‘১০ মে-র পর দেশে কোনও ভারতীয় বাহিনী থাকবে না। উর্দিতেও না, উর্দি ছাড়া অসামরিক পোশাকেও নয়। ভারতীয় বাহিনী এ দেশে কোনও ভাবেই থাকবে না। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলছি।’
আরও পড়ুন : মাত্র ১২ বছর বয়সে পিতৃহারা, সেলাই করে চালিয়েছেন সংসার! আজ নমো ভারত ট্রেনের পাইলট শিবানী
আসলে মলদ্বীপ বেশ কয়েকটি দ্বীপপুঞ্জের সমষ্টি। আর দ্বীপরাষ্ট্রের নিজেদের মধ্যে এবং যেকোন সমস্যায় উন্নত পরিষেবা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বাড়াতে বন্ধুত্বের উপহার স্বরূপ হেলিকপ্টার দিয়েছিল ভারত সরকার। যদিও এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার মালদ্বীপের সাহায্যের জন্য এগিয়ে গেছে ভারত। তবে চীনপন্থী মুইজ্জু সেসব কিছুই পায়ে মাড়িয়ে গেছে। ভারত বিরোধীতা করে ক্ষমতায় আসা মুইজ্জু সরকার কদর বাড়িয়েছে চীনের সাথে। তাদের দাবী, এবার সমস্ত রকমের সহায়তার জন্য চীনের সাথে চুক্তি চলছে।