বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভরা বসন্তের মাঝে শুরু হয়েছে অকাল বৃষ্টি। সেই সাথে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে জেরবার বাংলার মানুষজন। আর এবার খবর, গত দু’সপ্তাহ ধরে শক্তিবৃদ্ধির পর এ বার শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের আকার ধারণ করেছে একটি নিম্নচাপ৷ হাওয়া অফিসের (India Meteorological Department) পূর্বাভাস, সামনেই বড়সড় দুর্যোগ অপেক্ষা করছে বঙ্গবাসীর জন্য।
আবহাওয়া (Weather) দফতর সূত্রে খবর, এই ঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ন্যাভেল’ (Cyclone Neville)। শীঘ্রই বড় দুর্যোগ বয়ে আনতে চলেছে এই ন্যাভেল। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, নয়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ধ্বংসলীলা অনেকটাই চলতে পারে। ইতিমধ্যেই সেটি ক্যাটগরি তিন-এর আকার ধারণ করেছে। সাধারণত ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় এতখানি শক্তিশালী হয়না, কিন্তু ন্যাভেল অনেকটাই বেশি শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসছে।
ঘূর্ণিঝড়টির এমনই অবস্থান যে এখনো বলা যাচ্ছেনা কোথায় আছড়ে পড়তে পারে সেটি। তবে আন্দাজ করা হচ্ছে যে, স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের গতি থাকবে ১৬৫ কিমি বা তার আশেপাশেই। তাই বলাই যায় যে, এই ঝড়ের সম্মুখে যা আসবে তাই তছনছ করি দিয়ে যাবে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থেকে তার শক্তির আন্দাজ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন : খড়গপুর-শিলিগুড়ির দূরত্ব কমবে ১১২ কিমি, সময়ও বাঁচবে ৭ ঘন্টা! ১০২৪৭ কোটির প্রোজেক্ট NHAI-র
তবে স্বস্তির বিষয় এই যে, আপাতত ঘূর্ণিঝড়ের স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন যে, স্থলভাগ নয় ‘ন্যাভেল’ ভারত মহাসগারেই ৮০০ কিলোমিটার যাত্রা করে মিলিয়ে যেতে পারে৷ এমনকি অস্ট্রেলিয়া অথবা সেখানের উপকূলবর্তি অঞ্চলেও ঝড়ের তেমন প্রভাব পড়বে না৷
আরও পড়ুন : KKR-র ম্যাচে অশালীন `যৌনগন্ধী` খেলার বর্ণনা! এ কী বলে ফেললেন ধারাভাষ্যকাররা? ভিডিও ভাইরাল
এছাড়া স্থলভাগের পাশাপাশি অন্যান্য দ্বীপ অথবা দ্বীপপুঞ্জের ওপরেও তেমন ক্ষতির সম্ভবনা নেই আর। উল্লেখ্য, এই মরশুমে অষ্ট্রেলিয়া এবং তার উপকূলে এই নিয়ে মোট ৬ খানা ঘূর্ণিঝড় তৈরী হয়েছে। এর আগে কখনো এতবেশি ঝড়ের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি, বিজ্ঞানীদের মতে এসমস্ত আসলে বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণেই ঘটছে। সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাড়ছে ঘুর্ণিঝড়ের মতো বিপদের আশঙ্কা।