বাংলা হান্ট ডেস্ক : ঘূর্নিঝড় মিধিলির (Cyclone Midhili) দাপট থামতেই শুরু হল ঘূর্নিঝড় মিগজাউমের (Cyclone Michaung) আতঙ্ক। দিনকয়েক আগেই সাগরে তৈরি হয়েছিল একটি ঘূর্ণাবর্ত। গত রবিবার পর্যন্ত এই ঘূর্ণাবর্তটি ছিল দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ থাইল্যান্ডের উপর। সর্বশেষ বুলেটিন বলছে, ঘূর্ণাবর্তটি শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এবং এখন এটি অবস্থান করছে আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন মালাক্কা প্রণালীর উপর।
IMD রিপোর্ট
মৌসম ভবনের (India Meteorological Department) পূর্বাভাস, নিম্নচাপটি ক্রমেই পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকের পথ ধরবে। এবং আগামী বুধবার এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এবং সেটি অবস্থান করবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর। এখানেই শেষ নয়, এই নিম্নচাপের জেরে আগামী ২৭ ঘন্টায় বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
কলকাতার আবহাওয়া
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, গভীর নিম্নচাপটি দু’দিনের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমেপরিণত হবে। যার প্রতক্ষ্য না হলেও পরোক্ষ প্রভাব পড়বে বঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের অদূরেই এই নিম্নচাপ ঘনীভূত হলে আবহাওয়া বদলাতে পারে রাজ্যে। এমনিও গত কয়েকদিনে কলকাতা (Kolkata) সহ গাঙ্গেও পশ্চিমবঙ্গে শীতের আমেজ খানিকটা কমেছে।
আরও পড়ুন : উত্তরকাশী উদ্ধারে বড় সাফল্য! মাত্র কয়েক মিটারের দূরত্ব মিটলেই একে একে বেরিয়ে আসবে ৪১ জন শ্রমিক
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় খানিকটা উপরেই থাকবে। তবে নিম্নচাপের কালো ছায়া কেটে গেলেই ফের নামবে বাংলার পারদ। তবে আগামী পাঁচদিন বাংলায় এই নিম্নচাপ বা সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। তবে আবহাওয়া বদলাতে পারে সপ্তাহান্তে। সেক্ষেত্রে সপ্তাহ শেষে, উপকূল সংলগ্ন কিছু এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনার পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া ভবন।
আরও পড়ুন : বেআইনি নির্মাণ প্রসঙ্গে বড় রায় হাইকোর্টের! কাজে লাগলোনা অভিজিৎ গাঙ্গুলীর নির্দেশ
ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
তবে ঘুর্নিঝড় মিগজাউমের (Cyclone Michaung) প্রভাবে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। এছাড়াও বেশকিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেনা মৌসম ভবন। সেইসঙ্গে বঙ্গোপসাগরের উপরে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস আগামী ১ ডিসেম্বর ঝড়ের বেগ সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা পৌঁছেছে মৎস্যজীবিদের কাছে।