বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারত-কানাডা দ্বন্দ্বের (India-Canada Tension) মধ্যেই এবার বড়সড় মন্তব্য করলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) বিদেশমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন (Dr. A.K. Abdul Momen)। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, তিনি ভারত ও কানাডার মধ্যে চলা সংঘাতের বিষয়ে ভারতের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব বজায় রেখেছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, ঢাকা “ভারতের জন্য খুব গর্বিত কারণ তারা অপরিণত কোনো কিছু করে না।”
পাশাপাশি, মোমেন অটোয়াতে খালিস্তানপন্থী, বিচ্ছিন্নতাকামী, শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার বিষয়ে ভারতের বিরুদ্ধে কানাডিয়ান সরকারের অভিযোগকে “দুঃখজনক পর্ব” হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এছাড়াও, তিনি আশা করেছেন যে এই বিবাদটির সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সমাধান করা হবে।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি মনে করি এটা খুবই দুঃখজনক। আমি এর বিশদ বিবরণ জানি না। তাই আমি কোনোমন্তব্য করতে পারি না। তবে, আমরা ভারতকে নিয়ে খুব গর্বিত। কারণ তারা অপরিণত কিছু করে না। ভারতের সাথে আমাদের খুব দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং এগুলো মূল্যবোধ ও নীতির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।”
আরও পড়ুন: ফের কর্মী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি PSC-র! রয়েছে দুর্দান্ত বেতনের চাকরির সুযোগ, এভাবে করুন আবেদন
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত ১৮ জুন ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় খুন হয় খালিস্তানপন্থী হরদীপ। এই প্রসঙ্গেই দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর দেশের পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ভারতের দিকে আঙুল তোলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এছাড়াও, তিনি দাবি করেন হরদীপের মৃত্যুতে দিল্লি-সংযোগ উঠে এসেছে। পাশাপাশি, হরদীপকে কানাডার নাগরিক বলেও উল্লেখ করেন ট্রুডো।
আরও পড়ুন: এখনই হন সতর্ক! ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই কাজ না করলে ফ্রিজ হয়ে যাবে অ্যাকাউন্ট, জারি নির্দেশিকা
তবে, বিষয়টি এখানেই থেমে থাকেনি। বরং, খালিস্তানপন্থী, বিচ্ছিন্নতাকামী, শিখ নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরের মৃত্যুতে ভারতের ভূমিকা ছিল বলেও দাবি করেছেন ট্রুডো। দেশের পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে তিনি অভিযোগ করেন ভারতীয় এজেন্টরা সে দেশে হিংসাত্মক কাজকর্মে লিপ্ত হচ্ছেন। যার ফলে সামগ্রিকভাবে কানাডার নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমিকতা নষ্ট হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। যদিও থেমে থাকেনি দিল্লিও। বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে কানাডা সরকারের বিরুদ্ধে খালিস্তানপন্থী ও ভারতবিরোধী শক্তিকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে দিল্লি।