বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ফ্রান্স (france)। প্রথমে নবী হজরত মোহাম্মদের ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করার শিরচ্ছেদ করা হয় এক ফরাসী শিক্ষকের। এরপর ফ্রান্সের নিস শহরে এক গির্জার মধ্যে ঢুকে এক মহিলার মুণ্ডচ্ছেদ এবং আরও দুজনকে হত্যা করে সন্ত্রাসবাদীরা। পরপর এই সকল ঘটনায় ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ফ্রান্স।
ফ্রান্সে সন্ত্রাসী হামলা
এই সন্ত্রাসবাদী ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ফ্রান্সের নিস শহরের মেয়র ক্রিস্টিয়ান এস্ত্রোসি এক টুইট করে জানান, এই নৃশংস ঘটনাটি নিস শহরের নতর দাম গির্জার কাছে অথবা ভিতরেই ঘটেছে। অভিযুক্ত আততায়ী বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে। যে ৩ জনেরব উপর আক্রমণ হয়েছিল, তাদের মৃত্যু হয়েছে এবং ঘটনাস্থলে অনেকেই আহতও হয়েছেন।
সন্ত্রাসবাদী হামলার বিষয় অত্যন্ত নিন্দনীয়
ফ্রান্সে (france) হওয়া এই আকস্মিক সন্ত্রাসবাদী হামলায় তীব্র নিন্দা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra modi)। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এক ট্যুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, ‘ফ্রান্সে সন্ত্রাসবাদী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমি। গির্জার ভিতরের এই নৃশংস ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে আমি সমবেদনা জানাচ্ছি। ভারত এই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের পাশে থাকবে’।
I strongly condemn the recent terrorist attacks in France, including today's heinous attack in Nice inside a church. Our deepest and heartfelt condolences to the families of the victims and the people of France. India stands with France in the fight against terrorism.
— Narendra Modi (@narendramodi) October 29, 2020
নবীর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশে বিক্ষোভ
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুর দিকে ফ্রান্সের এক শিক্ষক মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রধান পথ প্রদর্শক নবী হজরত মোহাম্মদের একটি ব্যঙ্গচিত্র কার্টুন আঁকেন। এই ঘটনায় ফ্রান্সের ওই শিক্ষকের শিরচ্ছেদ করে তাঁকে শাস্তিও দেওয়া হয়। কিন্তু ওই শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে গিয়ে ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল ম্যাক্রন (Emmanuel Macron) স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি এই ঘটনায় কোনভাবেই মাথা নত করবেন না।
এই ঘটনায় নানা ভাবে সমালোচিত হতে হয়েছে ফ্রাস সরকারকে। এমনকি ফ্রান্সের পণ্য বর্জনের ডাকও দিয়েছে তুরস্ক। অন্যদিকে ইসলামের জন্মরাষ্ট্র সৌদি আরব তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। আবার বাংলাদশের রাজধানী ঢাকা থেকে বিক্ষোভকারীরা ঢাকার ফরাসী দুতাবাসের দিকে আগ্রসর হচ্ছিল। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই পুলিশ এসে উত্তেজিত জনগণকে আটকে দেয়। তবে এই ঘটনার সঙ্গে সন্ত্রাসী হামলার কোন যোগ আছে কিনা, তা জানা যায়নি।