বাংলাহান্ট ডেস্ক: জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের (India) প্রযুক্তি, গবেষণা ও ভবিষ্যৎ উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ দিগন্ত খুলে গেল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার মধ্যে একটি ত্রিপাক্ষিক পার্টনারশিপ গঠনের ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে বৈঠকের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় মোদি জানান, তিন দেশের এই উদ্যোগ আগামী দিনে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা, গবেষণা এবং উদ্ভাবনের নতুন পথ খুলে দেবে। তাঁর কথায়, তিন মহাদেশ ও তিন মহাসাগর জুড়ে এই পার্টনারশিপ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক উন্নততর, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ পৃথিবী গড়তে সাহায্য করবে।
জি২০ সম্মেলনে প্রযুক্তিতে নতুন দিগন্ত খুলল ভারতের (India)
জি-২০ বৈঠকের দ্বিতীয় দিন ছিল প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক আলোচনায় ভরপুর। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে আলাপচারিতাকে মোদি ‘দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, চলতি বছর ভারত (India)–যুক্তরাজ্য সম্পর্ক এক নতুন দিক উন্মোচন করেছে এবং বাণিজ্য থেকে প্রযুক্তি—বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই সহযোগিতা আরও গভীর হবে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে তাঁর আলোচনা ছিল অত্যন্ত ফলপ্রসূ বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বশান্তি, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন ও মানবিক সংকট মোকাবিলায় ভারত যে সবসময় গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে, তা স্পষ্ট করেন তিনি।
এদিন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গে বৈঠকে ভারত–ব্রাজিল সম্পর্কের ভবিষ্যৎ দিক নিয়ে কথা হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদির কথায়, বাণিজ্য, কৃষি প্রযুক্তি ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক—এই তিন ক্ষেত্রে দুই দেশ আগামিদিনে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে, যার সুফল মিলবে উভয় দেশের মানুষের। ব্রিকস জোটেও ভারত (India)–ব্রাজিল একে অপরের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে কাজ করবে, সে কথাও বৈঠকে উঠে আসে।
জোহানেসবার্গে মোদির ব্যস্ত কূটনৈতিক দিন শেষ হয় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এবং ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে। ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের পর মোদি জানান, ভারত (India)–ফ্রান্স সম্পর্ক শুধুমাত্র দুই দেশের মধ্যে নয়, বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে ‘ভালোর জন্য একটি শক্তি’ হিসেবে কাজ করে। প্রতিরক্ষা, মহাকাশ গবেষণা, সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দুই দেশের দীর্ঘদিনের সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত হবে বলে তিনি আশাবাদী।

আরও পড়ুন:জি-২০–তে ফের বাজল ‘মেলোডি’ সুর!মোদি–মেলোনির হাসিমুখে নেটদুনিয়ায় হইচই
জি-২০ সম্মেলনের মঞ্চে মোদির একাধিক বৈঠক শুধু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককেই সশক্ত করেনি, বরং প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও বৈশ্বিক উন্নয়নকে কেন্দ্র করে একটি বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সহযোগিতার দিশাও দেখিয়েছে। জোহানেসবার্গে ভারতের কূটনৈতিক সক্রিয়তা বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে ভবিষ্যৎ উন্নয়নের নতুন মানচিত্র।












