বাংলা হান্ট ডেস্ক : নয়ডার রাবুপুরা এলাকায় থাকা শচীন মিনারের সঙ্গে বসবাস করেন সীমা হায়দর (Sima Haider)। তিনি তার চার সন্তানকে নিয়ে অবৈধভাবে ভারতে (India-Pakistan) প্রবেশ করেছিলেন ১৩ মে। প্রেমিক শচীনের জন্য পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা সীমা হায়দর আবারও যথেষ্ট নজর কাড়ছেন। তবে এবারের কারণটা দুজনের প্রেমের গল্প নয়, বরং দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রের উত্তরপত্র। সেই ছাত্রের উত্তরপত্রে উঠে এল সীমা হায়দরের প্রসঙ্গ।
এই ছাত্রের উত্তরপত্রের ছবি ইন্টারনেটে দাবানলের মতো ভাইরাল হচ্ছে। রাজস্থানের ধোলপুর জেলার একটি স্কুলের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একটি পেপারে ভারত-পাকিস্তানের সীমান্ত এবং দৈর্ঘ্য নিয়ে প্রশ্ন ছিল। ছাত্রটি এই প্রশ্নের এমন উত্তর লিখেছিলেন যা দেখে শিক্ষক পর্যন্ত অবাক হয়ে গেছিলেন।
উত্তরপত্রে ওই ছাত্র লিখেছেন, ভারত-পাকিস্তানের সীমান্তের নাম সীমা হায়দর, আর এর দৈর্ঘ্য ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। এই ভাইরাল উত্তরপত্রটি আসলে ধোলপুর জেলার বাসেরির বাগথার সরকারি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের। এর আগে, পাকিস্তানি নাগরিক সীমা হায়দার তার ভারতীয় স্বামী শচীনের সাথে তার প্রথম ‘কারওয়া চৌথ’ করার জন্য বেশ চর্চায় ছিলেন।
সীমা হায়দর যিনি এই বছরের শুরুতে নেপালের বর্ডার পার করে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি পাবজি গেমের মাধ্যমে ২২ বছর বয়সী শচীন মিনারের প্রেমে পড়ে যান। ১৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে ছুটে আসেন এই ৩০ বছর বয়সী সীমা। সাথে ছিল তার চার সন্তান, যাদের সবার বয়সই খুব অল্প। তিনি বেআইনি ভাবে ভারতে প্রবেশ করার জন্য গ্রেফতার হন তার স্বামী শচীন সহ। পরে দুজনেই জামিনে ছাড়াও পান। সেই সময় অনেকেই তাকে পাকিস্তানের গুপ্তচর বলে মনে করেছিলেন।
তারপর থেকেই সীমা হায়দারের তদন্তে নেমেছে উত্তরপ্রদেশের এটিএস এবং ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। সীমা আসলে কে? তিনি কি সত্যি তার প্রেমিকের জন্য এখানে এসেছেন? না কি অন্য কোনও রহস্য আছে? এসব প্রশ্নের উত্তর বের করার জন্য তদন্ত চালাচ্ছেন এখনও গোয়েন্দা আধিকারিকেরা।