বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি মলদ্বীপের (Maldives) প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর (Mohamed Muizzu) মুখোশ খুলে দিয়েছেন তারই নিজের লোকজন। মলদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ঘাসান মামুন (Ghassan Maumoon) স্বীকার করেছেন যে, ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের কারণে মলদ্বীপ একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ঘাসান মামুন এটাও স্বীকার করেছেন যে, ভারতের দান করা ৩ টি বিমান চালানোর মতো দক্ষ পাইলট তাঁদের সেনাবাহিনীর কাছে নেই।
এমতাবস্থায়, মলদ্বীপের এহেন শোচনীয় অবস্থা পরিলক্ষিত করে ভারতেরও খারাপ লাগছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে যে, মলদ্বীপের পাইলটদের সামরিক বিমান ও হেলিকপ্টার ওড়ানোর প্রশিক্ষণ দিতে প্রস্তুত ভারত। এই প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাপ্তাহিক সাংবাদিক সম্মেলনে মলদ্বীপ সেনাবাহিনীকে ভারতের দেওয়া হেলিকপ্টার এবং ডর্নিয়ার বিমানের ভাগ্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন।
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, মলদ্বীপের সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি শ্রীলঙ্কা ও ভারতের মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তিনি বলেন, অনুরোধ করা হলে ভারত সরকার পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেবে। জয়সওয়াল বলেন, “ভারত ইতিমধ্যেই মলদ্বীপের সেনাবাহিনীতে প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে যদি তারা আমাদের পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিতে বলে, আমরা তা করতে পেরে খুশি হব।”
আরও পড়ুন: প্লে-অফের আগেই মিটল টেনশন! KKR শিবিরে এল বড় সুখবর, চরম স্বস্তিতে দল
ভারত সরকার জানিয়েছে, দুই সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী চলতি মাসের ১০ তারিখের আগেই সেনা নিয়ে বিমান শ্রীলঙ্কায় ফিরে আসে। ৩ টি ব্যাচে মোতায়েন করা সেনাদের পরিবর্তে ওই স্থান হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের পাইলট এবং প্রযুক্তিগত কর্মীদের দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এই ৩ টি কারণেই ঘটেছে বিপত্তি! বিক্রির দোরগোড়ায় উপস্থিত Haldiram
নিজের লোকজনই মুখোশ খুলে দিয়েছে মুইজ্জুর: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, মলদ্বীপের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহের সরকারের সময়েও ভারত ডর্নিয়ার বিমান ওড়ানোর জন্য পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। মলদ্বীপের চার জন সেনা ২০২১ সালে ভারতীয় নৌ স্কুল থেকে ডর্নিয়ার পাইলট প্রোগ্রামটি সম্পূর্ণ করে। জানিয়ে রাখি যে, মলদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ঘাসান মামুন ভারতীয় সৈন্যদের শেষ ব্যাচের প্রস্থানের পরে একটি সংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন যে, তাঁর সেনাবাহিনীর এখন এমন একজনও লাইসেন্সপ্রাপ্ত পাইলট নেই যিনি ডর্নিয়ার এবং হেলিকপ্টার ওড়ানোর প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন।