শুক্র গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব! যাচাই করতে ভারত পাঠাচ্ছে মহাকাশযান শুক্রায়ণ-১

শুক্রায়ণ ১ : শুক্রগ্রহে (venus) প্রাণ থাকতে পারে, সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বিজ্ঞানীদের হাতে। আর এই তথ্য উঠে আসার পর বিভিন্ন দেশ থেকে শুক্রে মহাকাশ যান পাঠানোর তোরজোর শুরু হয়ে গিয়েছে। এই দৌড়ে এবার নেমে পড়েছে ভারতের (india) মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোও (isro)। খুব শীঘ্রই ভারতের মহাকাশ যান শুক্রায়ণ ১ পাঠাচ্ছে ভারত।

isro 1563960869

ইসরো সূত্রে জানা যাচ্ছে এই শুক্রায়ণ মূলত মঙ্গলের আবহাওয়ার রসায়ন সম্পর্কে গবেষণা চালাবে। একই সাথে শুক্রের চারদিকে ঘুরবেও এই মহাকাশ যানটি। সেখান থেকেই শুক্র সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পাঠানো হবে পৃথিবীর মাটিতে। ইসরো প্রধান কে শিবন জানিয়েছে, ২০২৩ বা তার অব্যাহতি পরেই শুক্র গ্রহের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবে ভারতের মহাকাশ যান।
নিউজিল্যান্ডের এক বেসরকারি সংস্থাও শুক্রে স্যাটেলাইট পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই।

প্রসঙ্গত, বিজ্ঞানীরা সোমবার জানিয়েছেন যে তারা শুক্র গ্রহে অতি অম্লীয় মেঘের সন্ধান পেয়েছে। এই মেঘটিতে আছে ফসফাইন নামে একটি গ্যাস। যা দেখে বিজ্ঞানীদের ধারনা শুক্রে অনুজীব বর্তমান। যা জীবনের সম্ভাবনাকে কয়েকগুন বাড়িয়ে দিল।

শুক্রে ঠিক কি ধরনের প্রাণ আছে তা এখনো জানা না গেলেও। বিজ্ঞানীরা উল্লেখ করেছেন যে পৃথিবীতে ফসফিন অক্সিজেন-অনাহারযুক্ত পরিবেশে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা উত্পাদিত হয়। জানা যাচ্ছে, এই আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিকদের দলটি পহাওয়াইয়ের জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল টেলিস্কোপ ব্যবহার করে ফসফিনটিকে প্রথমবার চিহ্নিত করেছিল । চিলির অ্যাটাকামা লার্জ মিলিমিটার / সাবমিলিমিটার অ্যারে (ALMA) রেডিও টেলিস্কোপ থেকে দেখে এই ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

প্রসঙ্গত, ফসফাইনের আনবিক গঠনে একটি ফসফরাস পরমাণু যার সাথে তিনটি হাইড্রোজেন পরমাণু সংযুক্ত যাকে। এটি মানুষের পক্ষে অত্যন্ত বিষাক্ত। পৃথিবীতে থাকা কয়েক প্রজাতির অনুজীব খনিজ বা জৈব পদার্থ থেকে ফসফেট গ্রহণ করে এবং হাইড্রোজেন যুক্ত করে ফসফাইন তৈরি করে থাকে। যেহেতু শুক্র পৃথিবীর খুব কাছে তাই রোবট পাঠিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে খুব শীঘ্রই সেখানে পাঠানো হতে পারে মহাকাশযান।

 

 

সম্পর্কিত খবর