বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২১ জুলাই ঢাকার উত্তরা এলাকায় বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর একটি ছোট বিমান ভেঙে পড়ে (Bangladesh Plane Crash) একটি স্কুলের উপর। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৫ জনের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও কর্মী। অনেকেই এখন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি। এই দুঃসময়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াল ভারত।
ভারত (India) থেকে পাঠানো হল বিশেষ মেডিক্যাল টিম
এই পরিস্থিতিতে বুধবার বিকেলে ‘নেবর্স ফার্স্ট’ নীতিকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লি থেকে একটি বিশেষজ্ঞ মেডিক্যাল দল (medical team) ঢাকায় পৌঁছয়। এই দলে আছেন দু’জন চিকিৎসক এবং একজন নার্সিং সহকারী। তাঁরা ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আহতদের শারীরিক অবস্থা পরখ করবেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল জানিয়েছেন, মেডিক্যাল টিমটি বুধবার বিকেলে ঢাকা পৌঁছেছে এবং বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তারা নির্ধারিত হাসপাতালে কাজ শুরু করবে। যদি কোনও রোগীর উন্নত চিকিৎসার দরকার হয়, তাহলে তাঁদের ভারতে নিয়ে আসার কথাও ভাবা হবে। তিনি আরও জানান, ‘এই দুর্ঘটনার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দেন এবং সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুতির কথা জানান। তারই অংশ হিসেবে এই মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে।’
মোদীর (Narendra Modi) বার্তার পরে সাহায্যে এগোল ভারত
ঘটনার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এক্সে (X) লেখেন, এই মর্মান্তিক ঘটনায় (Bangladesh Plane Crash) তিনি গভীরভাবে শোকাহত। তিনি জানান, বাংলাদেশের পাশে ভারত আছে এবং সম্ভব সবরকম সাহায্য দিতে প্রস্তুত। সেই বার্তার পরিপ্রেক্ষিতেই ঢাকায় এই মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়। এই নিয়ে ঢাকায় ভারতের হাই কমিশন এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা সহায়তা দিতে ভারত একটি মেডিক্যাল টিম পাঠিয়েছে। এই টিম রোগীদের শারীরিক অবস্থা মূল্যায়ন করবে এবং প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারত নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেবে।
আরও পড়ুনঃ বিহারের ভোটার তালিকায় ভূত! ৫৬ লক্ষ নাম বাদ যেতেই বিতর্ক শুরু, মমতা বললেন…
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় (Bangladesh Plane Crash) আহতদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। এছাড়াও আহতদের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক, স্কুল কর্মী, অগ্নিনির্বাপক, পুলিশ, সেনাবাহিনী সদস্য, গৃহকর্মী, ইলেকট্রিশিয়ানসহ নানা পেশার মানুষ। তারা এখন রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অনেকের অবস্থা এখনও সংকটজনক।