বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারত-কানাডা (India & Canada) টানাপোড়েন অব্যাহত। জঙ্গি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে কানাডাকে এক হাত নিল নয়াদিল্লি। আন্তর্জাতিক মহলের চাপে বর্তমানে খলিস্তানি জঙ্গির খুনের ঘটনায় তদন্ত চলছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কানাডার আচরণের এদিন তীব্র বিরোধিতা করল ভারত। তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই ভারতকে দোষারোপ করা হচ্ছে, যা নিয়ে তীব্র নিন্দা জানালেন ভারতের হাই কমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মা।
সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলের সাক্ষাতকারে ভার্মা বলেন, ‘কোনও কারণ ছাড়াই ভারতকে দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে। এটা কি আদৌ আইনের শাসন? ভারতকে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। যদি প্রথাগত ক্রিমিনাল টার্মিনোলজি দেখা যায়, তখন দেখা যায়, কাউকে সহযোগিতা করার অর্থ হল ওই ব্যক্তিই অপরাধী। তদন্তে সহযোগিতা করলে বরং উপকারই হবে।’
কানাডাকে আক্রমণ করতে গিয়ে ভারতের হাই কমিশনার আরও বলেন, ‘এই প্রসঙ্গে দুটি বিষয় রয়েছে। প্রথমত, তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার আগেই ভারতকে দোষারোপ করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এটি আইনের শাসন নয়। আইনের উপর ভরসা রাখা হচ্ছে না।’ তবে তিনি জানান, নিজ্জরের হত্যার প্রসঙ্গে যদি কোনও নির্দিষ্ট ও প্রাসঙ্গিক বিষযে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, নিশ্চয়ই ভারত বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন গুরুদ্বারের সামনে খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তারপরেই এই হত্যার ঘটনার পিছনে ভারতের হাত রয়েছে বলে দাবি করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জি-২০ বৈঠক শেষ হতে না হতেই এই নিয়ে সুর চড়ায় কানাডা। যদিও প্রথম থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে ভারত। এরপরেই দুই দেশের সম্পর্কে চিড় ধরে। কানাডার দূতাবাসে ভারতের কূটনীতিককে বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়। পাল্টা দেয় ভারতও। কেন্দ্রের তরফে কানাডার কূটনীতিককেও পাঁচদিনের মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। শুধু তাতেই থামেনি ভারত। এরপর কানাডার নাগরিকদের ভিসা বন্ধের নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্র। যদিও কয়েকদিন আগেই ভারতের তরফে শর্তসাপেক্ষে কানাডিয়ানদের ভিসা দেওয়া ফের চালু করা হয়েছে। তবে এরই মধ্যে ফের সুর চড়াল ভারত।