বাংলাহান্ট ডেস্ক : ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেটে নতুন চমক এনেছে কেন্দ্র। দেশে আসতে চলেছে ই-পাসপোর্ট। মঙ্গলবার বাজেটে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি এই ই-পাসপোর্টের কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কেমন হতে চলেছে এই ই-পাসপোর্ট, কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে এতে? আসুন জেনে নেওয়া যাক
২০১৯ সালে সর্বপ্রথম ই-পাসপোর্টের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই নতুন ধরনের ব্যবস্থায় চিপ যুক্ত পাসপোর্ট পাবেন প্রতিটি নাগরিক। আন্তর্জাতিক বিধি মেনেই তৈরি হবে এগুলি। এছাড়াও দেশের দূতাবাস এবং কনস্যুলেট গুলিকে বিশ্বব্যাপি পাসপোর্ট সেবা প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। কেন্দ্রের দাবি, এই নতুন পাসপোর্ট পরিষেবা চালু করা গেলে বিদেশ ভ্রমনের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে দেশবাসীর। একই সঙ্গে অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে জালিয়াতিও।
ই-পাসপোর্ট পরিষেবার ক্ষেত্রে আবেদনকারী ব্যক্তির ব্যক্তিগত সমস্ত তথ্য ডিজিট্যালি নথিবদ্ধ করা হবে পাসপোর্টে থাকা চিপে। সংরক্ষিত হবে বায়োমেট্রিক তথ্যও। যার জেরে এই চিপটিতে বা পাসপোর্টে কোনোরকম গোলযোগ করা হলে অতি সহজেই সিস্টেমে ধরা পড়বে তা। যাত্রীদের ইমিগ্রেশনে অত্যন্ত সহায়ক হবে এই পাসপোর্ট।
এদিন একই সঙ্গে ব্যাঙ্কের ডিজিটালাইজেশনের কথাও ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি বলেন, ‘দেশের ৭৫ টি জেলায় ৭৫টি ডিজিট্যাল ব্যাঙ্কিং শাখা তৈরি করা হবে। পাশাপাশি অ্যানিমেশন, ভিস্যুয়াল এফেক্টস, গেমিং এবং কমিকসেও জোর দিয়ে গঠন করা হবে টাস্ক ফোর্স।’ এছাড়াও ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে ২০০ টি টিভি চ্যানেল চালুর কথাও ঘোষণা করা হয় এই দিন। এর ফলে আন্তর্জাতিক স্তরে ডিজিট্যাল চাহিদা পূরণের পাশাপাশি কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব হবে বলেও আশাবাদী সরকার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে নোটবন্দীকরণের পর ২০০০ টাকার নতুন নোটে চিপ থাকার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল কেউ এই টাকা নকল করতে চাইলে বা একাধিক ২০০০ টাকার নোট দীর্ঘদিন কোথাও পড়ে থাকলে এই চিপের মাধ্যমে ধরে ফেলা যাবে তা। যদিও বাস্তবের ছবিটা ছিল একেবারেই ভিন্ন। তবে এবার ই পাসপোর্টের ক্ষেত্রে আরও একবার ‘চিপ’ তত্ত্বে ভরসা রেখে দারুণ কিছুর আশায় দিন গুনছে দেশ। বাকি উত্তর একমাত্র সময়ই দেবে।