বাংলা হান্ট ডেস্ক: মার্কিন শুল্ক চাপ এবং চিনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতার আবহেই ভারত তার সীমান্তকে শক্তিশালী করতে চলেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ভারত চিন লাগোয়া উত্তর-পূর্ব সীমান্তে একটি নতুন রেলপথ (Indian Railways) নির্মাণ করছে। এই রেলপথের মাধ্যমে সহজেই দুর্গম এলাকায় যাতায়াত করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি, পণ্য পরিবহণ ছাড়াও প্রয়োজনে সেনাবাহিনীও ওই রেলপথ ব্যবহার করতে পারবে। ভারতের এই পদক্ষেপটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, চিনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার ক্ষেত্রে যদি ফের উত্তেজনা দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে ভারতের প্রস্তুত থাকা উচিত।
চিন সীমান্তে ট্রেন (Indian Railways) চালাবে ভারত:
মিডিয়া রিপোর্টস অনুযায়ী, অনুমোদিত পরিকল্পনার অধীনে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার রেললাইন (Indian Railways) স্থাপন করা হবে। যার মধ্যে ব্রিজ এবং টানেলও থাকবে। এই নেটওয়ার্ক চিন, বাংলাদেশ, মায়ানমার এবং ভুটানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিকে সংযুক্ত করবে। এই প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় প্রায় ৩০,০০০ কোটি টাকা এবং ৪ বছরের মধ্যে এটি সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এই প্রকল্পটি দীর্ঘমেয়াদী চিন্তাভাবনার ফল: জানিয়ে রাখি, কয়েক দশক ধরে ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েন পরিলক্ষিত হয়েছে। কখনও ঘনিষ্ঠতা এসেছে, আবার কখনও উত্তেজনাও দেখা দিয়েছে। যদিও সম্প্রতি চিনের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির লক্ষণ দেখা গেছে। তবে ভারতের এই প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদী চিন্তাভাবনার পরিচয় দেয়। সীমান্ত সংঘাতের ৫ বছর পর, উভয় দেশ এখন আবার সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করছে। যেখানে বাণিজ্য সুযোগ এবং বিশ্বব্যাপী পরিস্থিতিও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে।
আরও পড়ুন: বিক্রিই হচ্ছে না টিকিট! একাধিক কারণে ভারত-পাক ম্যাচের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন ক্রিকেট অনুরাগীরা
সড়ক পরিকাঠামোও শক্তিশালী হবে: ভারতের নতুন রেল প্রকল্পগুলি গত দশকে নির্মিত সড়ক পরিকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে। ভারত এখনও পর্যন্ত প্রায় ৯,৯৮৪ কিলোমিটার মহাসড়ক নির্মাণ করেছেএ যার জন্য ১.০৭ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এছাড়াও, ৫,০৫৫ কিলোমিটার রাস্তা এখনও নির্মাণাধীন। এই নতুন রেল ও সড়ক সুবিধা কেবল সাধারণ মানুষের জন্যই সহজলভ্য হবে না, বরং দুর্যোগ বা সামরিক পরিস্থিতির ক্ষেত্রেও কার্যকর হবে। গত ১০ বছরে, ভারত উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে ১,৭০০ কিলোমিটার রেলপথও নির্মাণ করেছে।
আরও পড়ুন: এবার সমগ্র বিশ্বকে “মিষ্টিমুখ” করাবে ভারত! বড় পদক্ষেপের পথে দেশ
এয়ারফোর্স এবং ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড: গত কয়েক বছরে, ভারত একাধিক অ্যাডভান্স ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড পুনরায় খুলে দিয়েছে। ১৯৬২ সাল থেকে বন্ধ থাকা ওই স্থলগুলি এখন হেলিকপ্টার এবং সামরিক বিমানের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। এদিকে, চিন সীমান্তবর্তী লাদাখ অঞ্চলে নতুন রেললাইন (Indian Railways) নির্মাণের বিষয়েও আলোচনা চলছে। বর্তমানে, রেল নেটওয়ার্ক কেবল কাশ্মীর উপত্যকার বারামুলা পর্যন্ত রয়েছে। এই অঞ্চলটি ভারত ও পাকিস্তান উভয়ের জন্যই অত্যন্ত সংবেদনশীল। তবে, ভারত সরকার এবং রেলওয়ে এখনও এই রেল নেটওয়ার্কের বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।