বাংলাহান্ট ডেস্ক : হাসিনা সরকারের পতন এবং মহম্মদ ইউনূসের তদারকি সরকার গঠন হওয়ার পর থেকেই ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক দূরত্ব বেড়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh)। তবে এর মধ্যেও দুই দেশের বাণিজ্য ছিল অব্যাহত। তবে এবার বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যের বিষয়ে এক বড় পদক্ষেপ নিল ভারত। বাংলাদেশ থেকে পাট এবং ফাইবারজাত সমস্ত পণ্য আমদানিতে জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সমস্ত স্থলপথ এবং বন্দর রুটেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। শুধুমাত্র খোলা রয়েছে মহারাষ্ট্রের নহাভা শেভা বন্দর।
বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে বাণিজ্যে বড় পদক্ষেপ ভারতের
শুক্রবার রাতেই ভারত সরকারের তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে। নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের কোনো বন্দর বা স্থলসীমান্ত দিয়ে আমদানি করা যাবে না বাংলাদেশের (Bangladesh) পাটজাত পণ্য। এক্ষেত্রে একমাত্র ব্যতিক্রম হিসেবে থাকছে নহাভা শেভা বন্দর। এর সঙ্গে সঙ্গেই দক্ষিণ এশিয়ার মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের পাওয়া শুল্কমুক্ত সুবিধা খর্ব করা হল। কিন্তু হঠাৎ এই পদক্ষেপের কারণ কী?
আরো পড়ুন : বুথে লাইন দেওয়ার ঝক্কি শেষ, বাড়িতে বসে মোবাইলেই দিতে পারবেন ভোট! বড় উদ্যোগ এই রাজ্যের
কেন এই পদক্ষেপ: ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তরের তরফে জারি করা হয়েছে এই নির্দেশিকা। অভিযোগ উঠছে, বাংলাদেশের (Bangladesh) রপ্তানিকারকরা ভর্তুকিযুক্ত এবং কমদামী পাটজাত পণ্য রপ্তানি করছে ভারতে। এর ফলে ভারতের ক্ষুদ্র এবং মাঝারি পাটশিল্প ক্ষতির মুখে পড়ছে। বাংলাদেশের (Bangladesh) এই ‘ডাম্পিং নীতি’র বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এবং ভারতীয় পাটশিল্পের উপর থেকে খরা কাটাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
আরো পড়ুন : রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব করার অভিযোগ, জমি ট্রাইব্যুনাল বিল পাশ নিয়ে কাঠগড়ায় তৃণমূল
ভারতের তরফে বার্তা: GTRI এর প্রতিষ্ঠাতা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বাংলাদেশ (Bangladesh) অনেক ভারতীয় পণ্যে আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু ভারত কখনোই বাংলাদেশের কোনো পণ্যে সম্পূর্ণ রূপে নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। শুধু একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে যে স্থলপথে ব্যবহার করা যাবে না, সমুদ্রপথ ব্যবহার করতে হবে।
চলতি বছর এপ্রিলেই ভারত বাংলাদেশকে (Bangladesh) দেওয়া একটি ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার করে নেয়। এই সুবিধার জোরে ভারতীয় স্থল শুল্ক স্টেশন ব্যবহার করে অন্য দেশে বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানি করতে পারত। কিন্তু এবার ভারতের এই পদক্ষেপের জেরে বাংলাদেশের রপ্তানি তথা পাটশিল্পে বড় প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।