বাংলাহান্ট ডেস্ক: সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত রাখার মাঝেই জম্মু ও কাশ্মীরে নতুন একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প অনুমোদন দিল ভারত (India) সরকার। কিশতওয়ারে চন্দ্রভাগা নদীর উপর ২৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুলহস্তী স্টেজ–২ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের বিশেষজ্ঞ মূল্যায়ন কমিটি। পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করেছিল ভারত, এবং তার পর থেকে একাধিক নতুন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিকল্পনা দ্রুতগতি পাচ্ছে।
কাশ্মীরে নতুন একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প অনুমোদন দিল ভারত (India)
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রায় ৩,২০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে অনুমান। পরিবেশ মন্ত্রকের ৪৫তম বৈঠকে প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং ইতিমধ্যে একাধিক সংস্থা নির্মাণের দরপত্র জমা দিয়েছে। শীঘ্রই কাজের দায়িত্ব চূড়ান্ত করা হবে বলে খবর। এই প্রকল্পটি ২০০৭ সাল থেকে চালু ৩৯০ মেগাওয়াটের দুলহস্তী স্টেজ–১ প্রকল্পেরই সম্প্রসারিত রূপ।
আরও পড়ুন: সেরে রাখুন প্রয়োজনীয় কাজ! জানুয়ারিতে ১৬ দিন বন্ধ থাকছে ব্যাঙ্ক, দেখুন ছুটির তালিকা
বিশেষজ্ঞ প্যানেলের বৈঠকে প্রকল্পের অনুমোদনের আগে সিন্ধু জলচুক্তির বিষয়টি উত্থাপিত হয়। আন্তর্জাতিক চুক্তির শর্ত মাথায় রেখেই প্রকল্পের নকশা প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানানো হয়। তবে ২০২৫ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে ভারত কর্তৃক জলচুক্তি স্থগিত রাখার বাস্তবতাকেও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটেই প্রকল্পটি এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিদ্যমান স্টেজ–১ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে একটি পৃথক ও সুড়ঙ্গপথ তৈরি করে জল সরবরাহ করা হবে নতুন স্টেজ–২ কেন্দ্রে। এই সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য হবে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটারেরও বেশি। প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় মোট ৬০.৩ হেক্টর জমির মধ্যে কিশতওয়ার এলাকার দুটি গ্রামের ৮.২৭ হেক্টর ব্যক্তিগত জমি অধিগ্রহণ করা হবে, যার প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু হবে।

আরও পড়ুন:পর্যবেক্ষণ করছে সেনাবাহিনী! ভারতের এই প্রতিবেশী দেশে রবিবার সম্পন্ন হতে চলেছে নির্বাচন
উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তি অনুযায়ী পশ্চিমমুখী সিন্ধু, চন্দ্রভাগা ও বিতস্তা নদীর জলে পাকিস্তানের অধিকার স্বীকৃত ছিল। চুক্তি স্থগিত হওয়ার পর পাকিস্তান একাধিকবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রতিবাদ জানালেও, ভারতের অবস্থান স্পষ্ট। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় জলনীতিতে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না বলে ইঙ্গিত দিচ্ছে এই প্রকল্প অনুমোদন।












