বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমানে ভারতে (India) জোরকদমে চলছে বুলেট ট্রেন (Bullet Train) প্রকল্পের কাজ। ঠিক এই আবহেই এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, বর্তমানে ভারত ও জাপানের (Japan) মধ্যে বুলেট ট্রেন কেনার কথা চলছে। পাশাপাশি, অনুমান করা হচ্ছে, এই মাসের শেষ নাগাদ হতে পারে চুক্তি। এমতাবস্থায়, প্রথমে ভারত জাপান থেকে ৬ টি E5 সিরিজের বুলেট ট্রেন কিনতে চলেছে বলেও জানা গিয়েছে।
সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ২০২৬ সালের জুন থেকে জুলাইয়ের মধ্যে গুজরাটে প্রথম বুলেট ট্রেন শুরু হতে পারে। এদিকে, ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (NHSRCL) ১৫ অগাস্টের মধ্যে বেশ কয়েকটি ট্রেন এবং অপারেটিং সিস্টেম কেনার জন্য সমস্ত চুক্তিতে বিড করবে।
২ ধরণের ট্রেন চলবে: উল্লেখ্য যে, আহমেদাবাদ এবং মুম্বাইয়ের মধ্যে দূরত্ব কভার করার জন্য একটি বিশেষ পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ৫০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বুলেট ট্রেন করিডোরে যাত্রীরা “সীমিত স্টপ” এবং “অল স্টপ” পরিষেবা পাবেন। যদি আমরা সীমিত স্টপেজ সহ ট্রেনগুলির কথা বলি, সেগুলি মাত্র ২ ঘন্টার মধ্যে মুম্বাই থেকে আহমেদাবাদের দূরত্ব কভার করবে। অপরদিকে, সমস্ত স্টপেজ সহ ট্রেনগুলি এই দূরত্বটি প্রায় ২.৪৫ মিনিটে অতিক্রম করবে।
কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে: জানিয়ে রাখি যে, এই প্রকল্পের কাজ গত জানুয়ারি মাস পর্যন্ত হয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। গুজরাটে এই প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ৪৮.৩ শতাংশ। যদিও, মহারাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত মাত্র ২২.৫ শতাংশ কাজ হয়েছে। এক্ষেত্রে মহারাষ্ট্র এখনও পিছিয়ে রয়েছে।
কয়টি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে: এদিকে মহারাষ্ট্রে প্রায় ৬ টি সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়াও গুজরাটে ২০ টি সেতুর মধ্যে ৭ টির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে প্রথম! রোগীর শরীরে সফল ভাবে প্রতিস্থাপিত হল অন্যের দু’টি হাত, নতুন জীবন পেলেন চিত্রকর
পরিদর্শন করেন অশ্বিনী বৈষ্ণব: সম্প্রতি বুলেট ট্রেন প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। পরিদর্শন করার সময়ে তিনি জানান যে, মুম্বাই এবং আহমেদাবাদের মধ্যে ৫০৮ কিলোমিটারের দূরত্ব দ্রুত পৌঁছতে, ২০২৬ সালের জুলাই-অগাস্টের মধ্যে সুরাট-বিলিমোরা সেকশন শুরু করা যেতে পারে। একটি সেকশন চালু হওয়ার পর অন্য সেকশনেও শীঘ্রই কার্যক্রম শুরু করা হবে।
আরও পড়ুন: উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট! MBBS পড়ার জন্য ছুটতে হয়েছে আদালতেও, আজ চিকিৎসক হয়ে নজির গড়লেন গণেশ
এদিকে, বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজে ধীরগতির জন্য রেলমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে সরকারকে দায়ী করেছিলেন। রেলমন্ত্রী জানান, যদি মহারাষ্ট্রে এই কাজ দ্রুত শেষ করার অনুমতি পাওয়া যেত, তাহলে বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজে অনেক অগ্রগতি হত। দেশে বুলেট ট্রেন চললে অর্থনৈতিক উন্নতিও হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।