বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে রাশিয়ায় অপরিশধিত তেলের দামের ক্ষেত্রে ব্যাপক রদবদল ঘটে গিয়েছে। আরও সস্তা হয়েছে রাশিয়ার তেল। যদিও, বহু দেশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে রাশিয়া থেকে অপরিশধিত তেল কেনা বন্ধ করেছে। বহু আন্তর্জাতিক ক্রেতার রুশ তেল কেনা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার অবস্থাকেই কাজে লাগাতে চাইছে ভারত সরকার। জি-৭ সামিটের মঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদীর বার্তায় সেকথা আরোও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথায়, জ্বালানির ব্যবহার করার অধিকার ধনীদের পাশাপাশি দরিদ্রদেরও আছে। অর্থাৎ, ভারত খুবই কম দামে রুশ তেল কিনলে দেশের গরিব নাগরিকরাও সহজে জ্বালানি ব্যবহারের সুযোগ পাবেন বলেই উল্লেখ করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। সোমবার মঞ্চ থেকেই প্রধানমন্ত্রী জানান, “জ্বালানি ব্যবহার করে সুবিধা পাওয়ার অধিকার আছে সকলেরই। সেখানে ধনী-দরিদ্রের বিভেদ করা উচিত নয়। আশা করি আপনারা সকলেই আমার এই কথার সঙ্গে একমত হবেন।” এরপরেই বর্তমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে তিনি বুঝিয়ে দেন, রাশিয়া বিরোধী দেশগুলির তরফে যতই চাপ আসুক না কেন, জাতীয় স্বার্থে কম দামে রুশ তেল কেনার পথেই হাঁটবে ভারত।
মোদী আরোও বলেন, “এখন আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি পালটে যাওয়ার ফলে জ্বালানির দাম আকাশ ছুঁয়ে ফেলেছে। সেই কথা মাথায় রাখতে হবে সকলকেই।” প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য পরিস্কার হয়ে যায় যে, দামের সুযোগ নিতে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি তেল পরিশোধন সংস্থাগুলি রুশ তেল কেনা বাড়াবে। শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল দেশগুলি তাদের দেশের দরিদ্র জনতাকে যথাসম্ভব সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে কম দামে তেল পেলে অবশ্যই তা কিনতে পারে বলেও বুঝিয়ে দেন নরেন্দ্র মোদী।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক স্তরের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভারতের তেল কেনার বিষয়টি আদপে একটি ‘বিজনেস ডিল’। ফলত, অন্য দেশগুলি যেখানে রাশিয়ার সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে তাদের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ রেখেছে, সেখানে ত্রাতা হিসেবে তেল কিনে ভারত রাশিয়ার কাছাকাছি আসতে চাইছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।