বাংলা হান্ট ডেস্ক : গালওয়ান উপত্যকা (Galvan Valley) উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ২০২০ সালে। চিনা সেনার অনুপ্রেবেশ রুখতে হাতহাতি সংঘর্ষে মুখ তোড় জবাব দেয় ভারতীয় সেনা (Indiam Army)। এদিকে পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার জবাব ভারত দেয় বালাকোটে। এই রকম পরিস্থিতি ফের তৈরি হতে পারে বলেই মনে করা হয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে। ভারত যে কোনও সময় পাকিস্তান (Pakistan) ও চিনের (China) উসকানির জবাব দিতে পারে বলেই মনে করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। এই ঘটনা ঘটতে পারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নেতৃত্বেই। যুযুধান তিন দেশই পারমাণবিক অস্ত্রে শক্তিশালী হওয়ায় সংকট আরও গুরুতর হতে পারে বলে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা।
সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মীরে হিংসা ও সন্ত্রাসবাদী হামলার খবর কিছুটা কম হলেও, মাঝে মধ্যে কিছু ঘটনা ঘটছে। এই হামলা যে সীমান্ত পার করে হচ্ছে তা বারে বারে অভিযোগ করেছে। যদিও পাকিস্তান তা মানতে নারাজ। পাকিস্তানের অভিযোগ জম্মু ও কাশ্মীরে ভারত মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। এর জবাব অবশ্য রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দিয়েছে ভারত।
আমেরিকার ইন্টেলিজেন্স কমিউনিটির রিপোর্ট অনুসারে ভারত সঙ্গে চিন ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার কারণে সংঘর্ষের ঝুঁকি থেকেই যায়। ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে পাকিস্তানের সমর্থন করার এক দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানের উসকানির জবাব দিতে পারেন বলেও রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। ছাড় পাবে না চিনও। এই জবাব দিলেই ভারতের সঙ্গে চিন ও পাকিস্তানের মধ্যে বড় সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।
২০১৮-তে পুলওয়ামার সন্ত্রাসবাদী হামলার জবাব ভারত দেয় ২০১৯-এর ২৬ ফেব্রুয়ারি। সেদিন ভারতীয় বিমান বাহিনীর ১২ টি মিরাজ ২০০০ জেট বিমান নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিতে আঘাত করে। আমেরিকার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধে দারিদ্র বেড়েছে। প্রভাব পড়েছে পাকিস্তানেও। এছাড়াও আর্থিক উন্নয়নেও তা বাধা তৈরি করেছে। আর্থিক পরিস্থিতির কারণে বেড়েছে অস্থিরতা।
আগে থেকে চরমপন্থা ও পর্যাপ্ত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা না থাকার কারণে অস্থির পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে পাকিস্তানে। বর্তমান সময়ে তা আরও বেড়েছে। আমেরিকার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের যুদ্ধ শুধু আঞ্চলিক নয়, বিশ্বব্যাপী সুদূরপ্রসারী প্রভাবও পড়ছে। সেখানে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এব্যাপারে মার্কিন হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে বলেও দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।