২০১৯ সালে পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলার স্মৃতি এখনও টাটকা প্রতিটি ভারতবাসীর মনে। ১৪ ফেব্রুয়ারি জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীর তরফ থেকে পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা করা হয়েছিল। ৪০ জন জওয়ান সেই হামলায় শহীদ হয়েছিলেন। সেই হামলার জবাবে পাকিস্তানে এয়ারস্ট্রাইক করেছিল ভারত৷ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি উড়িয়ে দেয় ভারত।
২৭ ফেব্রুয়ারি পাকবায়ুসেনার তরফে তার পাল্টা হিসাবে ভারতে আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই আক্রমণের পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার ক্যাপ্টেন অভিনন্দন বর্তমান। আদ্যিকালের মিগ-২১ মডেলের যুদ্ধবিমান নিয়েই তিনি পিছু ধাওয়া করেছিলেন অত্যাধুনিক, আমেরিকা থেকে আনানো পাক বাহিনীর এই-১৬ বিমানকে৷ তৃতীয় প্রজন্মের সেই বিমানই ধ্বংস করে দিয়েছিল পাকিস্তানের সেই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান-কে।

তারপরের ঘটনা সকলেরই জানা। সেই বিমান নিয়ে দেশে ফিরতে পারেননি অভিনন্দন। তার বিমান ভেঙে পড়ে পাকিস্তানে। কিন্তু সেখানে নানান প্রতিকূলতার মধ্যেও নিজের বাহিনীর বা দেশের কোনও ইনফরমেশনের বিষয়ে মুখ খোলেননি অভিনন্দন৷ এরপর বাধ্য হয়েই আর্ন্তজাতিক কূটনৈতিক নিয়ম মেনে তাকে ভারতের কাছে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। এরপর দেশে ফেরেন অভিনন্দ।
এই ঘটনার পর ২ বছর কেটে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই তাকে বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন পদে প্রমোশন দিয়েছিল ভারতীয় বায়ু সেনা কর্তৃপক্ষ। এবার তাকে সম্মানিত করা হল বীরচক্র পুরস্কারের মাধ্যমে। ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তাঁর হাতে তুলে দেন এই সন্মান৷ স্বাভাবিকভাবেই তার এই অর্জনে খুশি হয়েছেন প্রতিটি ভারতবাসী।