বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধে বহু চেষ্টা করেও ভারতীয় সেনাকে টলাতে পারেনি পাকিস্তান। সীমান্তে বীরত্বের ধ্বজা উড়িয়ে পাকিস্তানকে উচিৎ শিক্ষা দিয়েছে ইন্ডিয়ান আর্মি। প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সময় কালে পাকিস্তানের সঙ্গে এই যুদ্ধের সাক্ষী ছিল গোটা দেশ। বিক্রম বাত্রার মতো একাধিক ভারতীয় জওয়ানের বীরত্বে সেদিন শত্রু দেশের সমস্ত চাল ভেস্তে দিতে সক্ষম হয়েছিল ভারত।
এর সঙ্গে পাকিস্তানকে দেওয়া হয়েছিল একটি মুখের মত জবাবও। চলতি বছরেই কারগিল দিবসের ২১ বছর পূর্তি হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শ্রদ্ধা অর্পণ করেছেন ভারতীয় সমস্ত বীর জওয়ানদের প্রতি। এরই মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায় একটি অদ্ভুত ছবি। যেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সামনে দাঁড় করানো রয়েছে একটি মিসাইল, যাতে লেখা “ফ্রম রবীনা ট্যান্ডন টু নওয়াজ শরীফ।” কিন্তু এর অর্থ কি? এটি আসলে নব্বইয়ের দশকের একটি পরিচিত ঘটনা।
ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রবীনা ট্যান্ডন এবং মাধুরী দীক্ষিতকে নিয়ে নানা রকমের কথা বলতে দেখা যেত পাকিস্তানি সেনাদের। তারা এমনও কটাক্ষ করেছিল যে, “ভারত আমাদের মাধুরী ও রবীনা দিলে আমরা কাশ্মীর ছেড়ে দেব।” শুধু সেনারাই নয় রবীনার প্রেমে নাকি মত্ত ছিলেন পাক মন্ত্রী নওয়াজ শরীফও। প্রকাশ্যেই একাধিকবার তিনি বলেছিলেন তার প্রিয় অভিনেত্রী রবীনা। আর সেই কারণেই এই জবাব দিয়েছিল ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স।
কারগিল যুদ্ধের শেষ দিনে একটি মিসাইলের গায়ে লিখে দেওয়া হয়েছিল এই কথাটি। শুধু তাই নয় আরেকটি মিসাইলে লেখা হয়েছিল “জোরকা ঝাটকা ধীরে সে লাগা”। অবশেষে ভারতীয় সেনাদের বীরত্বে তিন মাসের যুদ্ধ শেষে জয়লাভ করেছিল ভারত। পরে এই ঘটনার কথা নিজেও প্রকাশ্যে এনেছেন রবীনা ট্যান্ডন।
২০১৭ সালে একটি ইন্টারভিউতে তিনি বলেছিলেন, “আমি হিংসা পছন্দ করিনা, কিন্তু আমি এই ছবিটির ছবিটির কথা জানি। আমি জানি কোন ঘটনা ওদের অনুপ্রাণিত করেছিল। কিন্তু আমি নিজে সৈন্যদের সঙ্গে সে সময় দেখা করেছি এবং সন্ত্রস্ত হয়ে ফিরে এসেছি। আমি কোন সিনেমার প্রচারের জন্য ওখানে যাইনি। সেসময় যা ঘটেছিল তা আমাকে সত্যিই আঘাত দিয়েছিল।”