বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত বড় আপডেট সামনে এসেছে। মূলত, ওয়ার্ল্ড ডিরেক্টরি অফ মডার্ন মিলিটারি এয়ারক্রাফ্ট (WDMMA)-এর সর্বশেষ রিপোর্ট অনুসারে, বিমান বাহিনীর শক্তিতে ভারত এবার চিনকেও ছাড়িয়ে গেছে। এই রিপোর্ট অনুসারে, আমেরিকা এবং রাশিয়ার পরেই ভারতের বিমান বাহিনী (Indian Air Force) এখন বিশ্বের তৃতীয় সবচেয়ে শক্তিশালী বিমান বাহিনী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, চিনের কাছে ভারতের তুলনায় বেশি যুদ্ধবিমান থাকলেও ভারতীয় বিমান বাহিনীকে (IAF) আরও আধুনিক এবং প্রস্তুত বলে মনে করা হয়েছে।
বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী এয়ারফোর্সের তালিকায় তৃতীয় স্থানে ভারত (Indian Air Force):
সাম্প্রতিক অপারেশন সিঁদুরে ভারতের প্রস্তুতির এক ঝলক দেখা গেছে। যেখানে ভারতীয় বিমান বাহিনী (Indian Air Force) রীতিমতো পাকিস্তানের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানিয়েছেন যে, অপারেশন সিঁদুরের সময়ে LoC-তে ১০০ জন জঙ্গি খতম হয়েছিল এবং কমপক্ষে ১২ টি বিমান ধ্বংস করা হয়।
WDMMA কীভাবে তার র্যাঙ্কিং নির্ধারণ করে: জানিয়ে রাখি, WDMMA প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে বিমান বাহিনীর শক্তি মূল্যায়ন করে। এই র্যাঙ্কিং কেবল বিমানের সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে হয় না। বরং, এটি যুদ্ধ শক্তি, প্রতিরক্ষা ক্ষমতা, লজিস্টিক সাপোর্ট, প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতিও বিবেচনা করে। পাকিস্তান বিমান বাহিনী চিন থেকে অস্ত্র কেনার ওপর নির্ভরশীল কিন্তু প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের দিক থেকে ভারত (Indian Air Force) তার চেয়ে এগিয়ে।
আরও পড়ুন: আরও গভীর হচ্ছে বন্ধুত্ব! এবার ভারতের কাছ থেকে এই জিনিসটি কিনবে রাশিয়া, হয়ে গেল ঘোষণা
রিপোর্টে দেশগুলির র্যাঙ্কিং এবং TVR (TruVal Rating) নিম্নরূপ:
১. আমেরিকা: ২৪২.৯
২. রাশিয়া: ১১৪.২
৩. ভারত (Indian Air Force): ৬৯.৪
৪. চিন: ৬৩.৮
৫. জাপান: ৫৮.১
৬. ইজরায়েল: ৫৬.৩
৭. ফ্রান্স: ৫৫.৩
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছেই বড় ধামাকা কোহলির! হইচই অনুরাগীদের মধ্যে
এয়ার ডিফেন্সে ভারত কীভাবে চিনের চেয়ে এগিয়ে: উল্লেখ্য যে, চিন তার এয়ারফোর্স ফ্লিট আপগ্রেড এবং অ্যাডভান্স টেকনোলজি ডেভেলপ করার ক্ষেত্রে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করছে। অন্যদিকে, ভারত কেবল যন্ত্রপাতির ওপরেই নয়, বরং পাইলট প্রশিক্ষণ এবং যুদ্ধ প্রস্তুতির ওপরেও জোর দিচ্ছে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর (Indian Air Force) শক্তির পেছনে আসল কারণ হল উন্নত প্রশিক্ষণ, দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষমতা এবং সুনির্দিষ্ট আক্রমণ চালানোর ক্ষমতা। ৩ টি বাহিনীর (স্থল, সমুদ্র এবং আকাশ) মধ্যেও ভালো সমন্বয় রয়েছে। যুদ্ধের সময় এই অংশীদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে, রাশিয়ার ক্ষেত্রেও বিপুল বিমান রয়েছে। তবুও তারা ইউক্রেনের ওপর আকাশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। অন্যদিকে, ২০২৫ সালে মাত্র ৪ দিনের মধ্যে ইরানের ওপর আকাশপথে আধিপত্য অর্জন করে ইজরায়েল। কারণ, তাদের পরিকল্পনা এবং প্রযুক্তি উন্নত ছিল।