বাংলা হান্ট ডেস্ক: পশ্চিম সীমান্তে ধারাবাহিক শক্তি-প্রদর্শনের পরে এবার নজর পূর্ব সীমান্তে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী (Indian Armed Force) ১১ নভেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে ‘পূর্বী প্রচণ্ড প্রহার’ নামে একটি ত্রি-সেবা মহড়া চালাবে—তাতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর যৌথ অপারেশন সংমিশ্রিতভাবে প্রদর্শিত হবে। প্রতিরক্ষা সূত্র ও পিআরও-র বিবৃতি অনুযায়ী মহড়ার মূল উদ্দেশ্য হবে ক্যালিব্রেটেড ফায়ারপাওয়ার, সমন্বিত কৌশল ও বাস্তবসম্মত যুদ্ধক্ষেত্র পরিবেশে কিছুমান জটিল সিমুলেশন যাচাই করা।
পূর্বে ‘প্রচণ্ড প্রহার’ ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর (Indian Armed Force)
প্রতিরক্ষা জনসংযোগ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহেন্দ্র রাওয়াত জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Armed Force) মহড়ায় কামান, যান্ত্রিক ইউনিট, গোত্রীয় ড্রোন এবং নির্ভুল বিমান হামলা একসঙ্গে কাজ করবে। এতে কম্বাইন্ড আর্মড মুভমেন্ট, এয়ার-গ্রাউন্ড সমন্বয় ও দ্রুত লক্ষ্যনিরূপণ প্রদর্শিত হবে—যা উচ্চ পারদর্শিতা ও তৎপরতা যাচাইয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মহড়ার পরিকল্পনায় কৌশলগত মোবিলিটি, লজিস্টিক সাপোর্ট ও বিপথগামী পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রতিক্রিয়ার উপযোগী সক্ষমতা পরীক্ষা করা হবে।
আরও পড়ুন:অন্ধকার রাতের আকাশে ফুটবে আতশবাজি, ২৫ বছর পর ফের বাংলায় উজ্জ্বল উল্কাবৃষ্টি
এদিকে সাম্প্রতিক ৩০ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত চলা, ভারতের পশ্চিম সীমান্তে —ত্রিশূল নামের একটি বৃহৎ মহড়ায়—ওই অঞ্চলের প্রতি কঠোর বার্তা দিতে লক্ষ্য করেই চালানো হয়েছিল বলে সামরিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন। ত্রিশূল মহড়ায় বিশেষ বাহিনী (Indian Armed Force), ক্ষেপণাস্ত্র ব্যাটারি, যুদ্ধ ট্যাঙ্ক, যুদ্ধজাহাজের পাশাপাশি রাফাল ও সুখোই-এসইউ৩০ প্রকারের আক্রমণাত্মক বিমান ব্যবহারের মাধ্যমে দক্ষতা-পরীক্ষা করা হয়েছে; এই মহড়াটি গুজরাট ও রাজস্থান এলাকায় সংগঠিত ছিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও পূর্বেকার ভাষণে পাকিস্তানের সীমান্তীয় প্রলেপায়ন ও সামরিক সম্প্রসারণ নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন।

আরও পড়ুন:হার্ট অ্যাটাকে প্রাণ গেল দিঘার হোটেল ব্যবসায়ী শেখ সিরাজউদ্দিনের, পরিবারের দাবি ‘SIR আতঙ্কে’ মৃত্যু
রিপোর্ট বলছে, পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তানকে ভারতের প্রত্যয় জানানো হয়েছে—এবার পূর্বে মহড়া শুরুর দিনটিও বার্তা বহন করে; চিনের গা ঘেঁষা অরুণাচলে ভারতীয় সেনার (Indian Armed Force) শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দ্রুত ও সমন্বিত প্রতিক্রিয়ার ক্ষমতা প্রদর্শন করাই লক্ষ্য। সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দফার মহড়াগুলো কেবল সক্ষমতা প্রদর্শন নয়, পাশাপাশি নমনীয় প্রতিক্রিয়া, ইন্টেলিজেন্স-চালিত অপারেশন ও বহুমাত্রিক প্রতিরক্ষা কৌশল পর্যবেক্ষণ করবার সুযোগ দেবে।
সীমান্ত এলাকায় উত্তপ্ত রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রেক্ষাপটের মধ্যেই এসব মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে; ফলে স্থানীয় পরিস্থিতি, সীমান্তপ্রহর ও কূটনীতিক তাৎপর্য বেড়ে যাচ্ছে। সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী সব মহড়া নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে পরিচালিত হবে—একই সঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নাগরিক নিরাপত্তা সুরক্ষায় ভারতের সেনার (Indian Armed Force) প্রস্তুতিতেই এদের গুরুত্ব অন্যতম।













