বাংলা হান্ট ডেস্ক :- ২৬ শে ফেব্রুয়ারী ভারতের জইশ ই মহম্মদ এ আক্রমণের ব্যপারে জল্পনা কিছু কম ছড়ায়নি। পাকিস্তান তো বটেই এমনকি অনেক ভারতীয়রাই এই এয়ার স্ট্রাইকের ঘটনাকে মানতে নারাজ। ভারতীর বায়ুসেনারা তাঁরা যে অভিযানে সফল জানালেও তা মিথ্যে বলে উড়িয়ে দিয়েছেন অনেকে। তাই বিতর্ক এখনও অব্যাহত।
এবার ফ্রন্সেকা মারিনো নামে এক ইতালির সাংবাদিক এই বিতর্ক আরও উস্কে দিলেন। রাষ্ট্রসংঘ মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করার পরই এক প্রতিবেদনে এই ইতালীয় সাংবাদিক জানালেন ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার স্ট্রাইকে ওই অ্যাটাক এর দিন ১৩০-১৭০ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিবেদনে মারিনো লেখেন যে, রাত প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ ভারত এয়ার স্ট্রাইক করে বালাকোটে। পাক সেনা ঘটনাস্থলে পৌঁছয় প্রায় ভোর ৬টা নাগাদ। পাক সেনার ঘাঁটি ছিল শিনকিয়ারিতে। আহত জঙ্গিদের সেই স্থানে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন ওই পাক সেনারাই। এমনকি পাক সেনা চিকিৎসকদের দ্বারা সেখানেই তাদের চিকিৎসা করা হয়।
ইতালীর এই সাংবাদিক আরও দাবি করেছেন যে, সেদিন এয়ার স্ট্রাইকে প্রায় ১৩০-১৭০ একটি এত বড় সংখ্যার জঙ্গি নিহত হয়। চিকিৎসা চলাকালীনই ২০ জন জঙ্গি মারা গেছেন। বাকি ৪৫ জন এখনও পর্যন্ত চিকিৎসাধীন। মৃতদের পরিবারকে দেওয়া হয়েছে একটি মোটা টাকার ক্ষতিপূরণও।
সংবাদমাধ্যমে এই খবর ফাঁস না হওয়ার নিশ্চিত করণ করতে সবরকম চেষ্টা করেছে পাক সরকার। স্থানীয় পুলিশকেও ওই ঘটনাস্থলে ঢোকার জন্য বিধিনিষেধ ছিল। মারিনো বলেন যে-”আমি একটি নির্ভরযোগ্য স্থান থেকেই এই তথ্য সমূহ যোগার করেছি।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বিবিসি-র সাংবাদিকদের এলাকাটি ঘুরে দেখায় পাক সেনা। তবে তা পুরোটাই একটা নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ ছিল। প্রশ্ন হল এখানেই যে এয়ার স্ট্রাইকের ৪০দিন পরেও এই বিধি নিষেধ কেন?!? সুতরাং যা রটে তার কিছু তো ঘটে