বাংলা হান্ট ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতার ওপর ভর করে এবার বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী এবার ৮৫০ টি কামিকাজে ড্রোন কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যার জন্য খরচ হবে প্রায় ২,০০০ কোটি টাকা। এই ড্রোনগুলি ৩ টি প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং বিশেষ বাহিনীকে শক্তিশালী করতে ব্যবহার করা হবে।
শক্তি বাড়বে ভারতীয় সেনার (Indian Army):
বর্তমানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই প্রস্তাবটি ক্রয়ের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রতিরক্ষা সূত্র ANI-কে জানিয়েছে যে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে নির্ধারিত প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কাউন্সিলের উচ্চ-স্তরের বৈঠকে শীঘ্রই এটি অনুমোদন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সূত্রটি জানিয়েছে, দ্রুত বাস্তবায়নের প্রস্তাব অনুযায়ী, সেনাবাহিনী দেশীয়ভাবে তৈরি লঞ্চার সহ প্রায় ৮৫০ টি আক্রমণকারী ড্রোন পাবে। জানা গিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করা বিপুল সংখ্যক ড্রোন ব্যবহার করে এবং ভবিষ্যতে তাদের সমস্ত যুদ্ধ ইউনিটকে সজ্জিত করার জন্য প্রায় ৩০,০০০০ ড্রোন অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করছে।
আরও পড়ুন: ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে ফের বৃদ্ধি! বাড়ল গোল্ড রিজার্ভও, সামনে এল পরিসংখ্যান
প্রতিরক্ষায় বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে: সূত্রটির মতে, সেনাবাহিনীর প্রতিটি পদাতিক ব্যাটালিয়নে এখন থেকে একটি করে অশ্বিনী প্লাটুন (স্পেশালাইজড ড্রোন ইউনিট) থাকবে। এই প্লাটুন শত্রু অবস্থানে আক্রমণ এবং সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ব্যবহৃত ড্রোন পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে। অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসবাদীদের আস্তানা লক্ষ্য করে ব্যাপকভাবে ড্রোন ব্যবহার করেছিল। পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রত্যুত্তর হিসেবে পরিচালিত অভিযানের প্রথম দিনেই ভারত ৯ টি জঙ্গি আস্তানার মধ্যে ৭ টি ধ্বংস করে দেয়।
আরও পড়ুন: বৈভবদের দিকে তাকিয়ে সবাই! রবিবার ফাইনালে ভারত-পাক মহারণ, কখন-কোথায় দেখবেন ম্যাচ?
পরবর্তীকালে, জঙ্গিদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেও ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল। সূত্রটি জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর অভিযানে শত্রুপক্ষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং সীমান্তে তাদের পরিকাঠামোও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।












