সীমান্তে শত্রুকে শায়েস্তা করতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনার “তুরুপের তাস”, কোথায় হবে মোতায়েন?

Published on:

Published on:

Indian Army soon to deploy their trump card at the border

বাংলাহান্ট ডেস্ক:- এবার দেশবাসীকে রক্ষা করতে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে (Indian Army) আসছে স্বয়ং ভৈরব!দেশবাসীর সুরক্ষায় কাজে লাগানো হবে ভৈরব কমান্ডো (Bhairav Commando) বাহিনীকে। রণক্ষেত্রে শত্রুকে একে বারে ধুলিসাৎ করতে নতুন বিশেষ প্রশিক্ষণে পারদর্শী ব্যাটিলিয়ান গড়ে তুলেছে ভারতীয় সেনা। ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ভারত সীমান্তের কোন কোন অঞ্চলে এই কমান্ডদের মোতায়েন করা হবে।

ভারতীয় সেনায় মোতায়েন ভৈরব কমান্ডো (Indian Army)

ভারতের (India) প্রতিরক্ষায় নতুন মাত্রা যোগ করতে চলেছে এই ভৈরব কমান্ডো বাহিনী। পাকিস্তান (Pakistan) এবং চিন (China) দুই দিক থেকেই বাড়তে থাকা হুমকির মোকাবিলা করতে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত এই নতুন ব্যাটালিয়ন গঠন করেছে ভারতীয় সেনা। সর্বভারতীয় এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, আপাতত পাঁচটি ভৈরব কমান্ডো ব্যাটালিয়ন তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটিকে উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডোর অধীনে মোতায়েন করা হবে, যাতে পাকিস্তান ও চিন সীমান্তে একযোগে সাড়া দেওয়া যায়। বাকি দুটি ব্যাটালিয়নের মধ্যে একটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এবং অপরটি পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ডোর অধীনে মোতায়েন হবে।

লাদাখ সীমান্তে চিনা আগ্রাসন এবং জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে পাক সেনার হামলার সম্ভাবনা মাথায় রেখেই এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিশেষত ২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে প্রশ্ন উঠেছিল, ভারতীয় সেনা কীভাবে একযোগে দুই ফ্রন্টে লড়াইয়ের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করবে। উন্নত অস্ত্রশস্ত্রের পাশাপাশি সামরিক পরিকাঠামো এবং বাহিনীর কাঠামো পরিবর্তনের পরিকল্পনা তখন থেকেই শুরু হয়। তারই ফলস্বরূপ এবার ভৈরব কমান্ডো ব্যাটালিয়ন মাঠে নামতে চলেছে।

Indian Army soon to deploy their trump card at the border

 

আরও পড়ুন:- ‘পিসি-ভাইপোকে ধরাই উচিত, প্রচুর সম্পত্তি করেছে, লজ, শপিং মল..’, কাকে নিয়ে বেফাঁস তৃণমূলের জীবনকৃষ্ণের বাবা?

সম্প্রতি কার্গিল বিজয় দিবসে সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী জানিয়েছিলেন, জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। তাঁর কথায়, ২০২৩ থেকে ২০৩২ সাল পর্যন্ত সময়কালকে সেনাবাহিনীর “রূপান্তরের দশক” হিসেবে ধরা হচ্ছে। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই গড়ে উঠছে রুদ্র ব্রিগেড ও ভৈরব ব্যাটালিয়ন কমান্ডো বাহিনী। এর পাশাপাশি ‘দিব্যাস্ত্র ব্যাটারি’ এবং ‘শক্তিবান ইউনিট’ তৈরির কথাও ঘোষণা করেছিলেন তিনি।

সেনাপ্রধান আরও জানান, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারই এই রূপান্তরের মূল লক্ষ্য। উন্নত ড্রোন, গোলাবারুদ, দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং আধুনিক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যে সেনাবাহিনীর প্রত্যাঘাতের ক্ষমতা বহুগুণে বাড়ানো হবে। এমনকি সীমান্তে প্রতিটি পদাতিক ব্যাটালিয়নের সঙ্গে গোলন্দাজ বাহিনী এবং ড্রোন ইউনিট যুক্ত করার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভৈরব কমান্ডো ব্যাটালিয়ন মোতায়েন হলে দুই ফ্রন্টে যুদ্ধের পরিস্থিতি সামলাতে ভারতীয় সেনা আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে। সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধ থেকে শুরু করে সরাসরি সংঘর্ষের ময়দানে আধিপত্য বিস্তার—সব ক্ষেত্রেই এই নতুন বাহিনী কার্যকর ভূমিকা নেবে বলে আশা সেনার।