বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) গত সোমবার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায় ওই দেশে তুমুল বিশৃঙ্খলার পরিবেশ বিরাজ করছে। তিনি একটি সামরিক বিমানে ভারতে এসে পৌঁছন। এমতাবস্থায়, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী তখন ক্ষমতার শূন্যতা পূরণের জন্য নিয়ন্ত্রণ নেয়। এদিকে, হাসিনার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ তাঁর বাসভবনে হামলা চালায়। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে সেখানে লুটপাঠ করে। এদিকে, গত দুই দিনে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে
শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) বিষয়ে ৭ মাস আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল:
এদিকে, এই বিক্ষোভের মূল কারণ হল শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকারের বিতর্কিত কোটা পদ্ধতি। এই ব্যবস্থাটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে লড়াই করা সৈনিকদের পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ চাকরি সংরক্ষণ করে। তবে, গত সোমবার, প্রশান্ত কিনি নামে একজন জ্যোতিষী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ একটি পুরনো পোস্ট শেয়ার করেছেন। যেটি ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সেনায় বিরাট রদবদল! সরানো হল শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে
মূলত, ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর, প্রশান্ত তাঁর পোস্টে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) সমস্যায় পড়তে পারেন বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি ২০২৪-এর মে, জুন, জুলাই এবং অগাস্ট মাসে এই বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। পাশাপাশি এটাও জানিয়েছিলেন যে, হাসিনা হত্যার চেষ্টার সম্মুখীন হতে পারেন।
আরও পড়ুন: গোল্ড মেডেলের আরও কাছে পৌঁছলেন নীরজ! প্রথম থ্রো-তেই কনফার্ম করে ফেললেন ফাইনালের টিকিট
রিপোস্ট করে বিষয়টি তুলে ধরেছেন: এমতাবস্থায়, বাংলাদেশে চলা চরম অরাজকতার আবহে প্রশান্ত কিনি তাঁর ওই পোস্টের বিষয়টি ফের সামনে এনেছেন। যেখানে তিনি বলেছিলেন যে, ২০২৪ সালের অগাস্টে শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) সমস্যা সম্পর্কে তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী সত্য প্রমানিত হয়েছে।
I have Already predicted Sheikh Haseena will be in trouble in August 2024 ,
Is she flee her country !!!! https://t.co/WePWMaOOkP— Prashanth Kini (@AstroPrashanth9) August 5, 2024
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান বলেছেন, তিনি রাজনৈতিক নেতাদের সাথে দেখা করেছেন এবং তাঁদের বলেছেন যে সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব নেবে। তবে এই বৈঠকে শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) আওয়ামী লীগের কোনও নেতা উপস্থিত ছিলেন না। এদিকে, সারাদেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় সেনাপ্রধান রক্তপাত এড়াতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ উভয়কেই গুলি না চালানোর নির্দেশ দেন।