বাংলা হান্ট ডেস্ক : ব্যাঙ্কের প্রাইভেটাইজেশন (Bank Privatisation) নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছে। আর তা নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে। এমতাবস্থায় যাদের সরকারি ব্যাঙ্কে (Government Bank) অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাদের জন্য রয়েছে বড় খবর। সে আপনার অ্যাকাউন্ট দেশের যে প্রান্তেই থাকুক না কেন, এই বিষয়টি আপনাকে জানতেই হবে। কারণ এবার SBI-PNB সহ সমস্ত ব্যাঙ্ক বেসরকারি করতে চলেছে সরকার।
সম্প্রতি খবর মিলেছে, এসবিআই থেকে পিএনবি এই সব ব্যাঙ্কের উপরে বেসরকারিকরণের বিষয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্র। সম্প্রতি AIBOC-এর প্রেস রিলিজ থেকে জানা গেছে আর্থিক বিভাজন রুখতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরেও সর্বজনীন ক্ষেত্রে সরকারী খাতের ব্যাঙ্কগুলিও এখন বেসরকারীকরণের মুখে।
গত মঙ্গলবারই এই তথ্য সামনে এনেছে অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশন (AIBOC), দেশের ব্যাঙ্ক অফিসারদের শীর্ষ সংস্থা। এইদিন ভারতে ৫৫ তম ব্যাঙ্ক রাষ্ট্রীয়করণ দিবসের সন্ধ্যায় একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পিএসবি বা এসবিআই পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্ক ১৯৬৯ সালের পর থেকে বেসরকারি ব্যাঙ্কের জাতীয়করণের পরে হামেশাই আর্থিক উন্নতির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে ৷
এই বিষয়ে এআইবিওসি সাধারণ সম্পাদক রূপম রায় বলেছেন যে, সরকারি খাতের ব্যাঙ্কগুলি আসলে বেসরকারিকরণের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। একটি বিকল্প বিচার বিশ্লেষণ দিয়েই সমাধান করা সম্ভব ৷ রূপম রায়ের কথায়, এমন উপায় দরকার যা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেয়।
তিনি আরও বলেন, জাতীয়করণের পর থেকে এই পিএসবিগুলো কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমআই), শিক্ষা ও অবকাঠামোর মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে তহবিল সরবরাহ করছে। রূপম আরও বলেছেন যে তারা অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রবৃদ্ধি এবং লক্ষ লক্ষ ভারতীয়দের ব্যাঙ্কিং পরিষেবার অ্যাক্সেস প্রদানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, আগস্ট ২০১৯-এ, ১০টি ব্যাঙ্কের মধ্যে ৪টি ব্যাঙ্ক একীভূত করেছিল। যার পরে দেশে সরকারী খাতের ব্যাঙ্কের সংখ্যা ২৭ থেকে ১২-এ নেমে এসেছে। বর্তমানে এসব ব্যাংকের বেসরকারিকরণ নিয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে বাকি সমস্ত সরকারি ব্যাঙ্ককে বেসরকারিকরণের আওতায় না রাখার জন্য ৷