বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ইরাক ও আমেরিকার মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি আরো জটিল হচ্ছে। যে কোনো মুহুর্তে বেঁধে যেতে পারে যুদ্ধ। এতেই সংকটের কালো মেঘ দেখছে অর্থনীতিবিদ থেকে শুরু করে সাধারন মানুষ। কারন ইরাক ও আমেরিকা দুজনেই ভারতের বন্ধু দেশ। ইরাক থেকে যেমন প্রচুর তেল আমদানি করতে হয় ভারতকে তেমনই আমেরিকা থেকেও আমদানি করতে হয় অনেক কিছু। ফলে যুদ্ধ বাধলে তা ভারতের পক্ষে আর্থিক ক্ষতির কারন হতে পারে।
ভারতের জিডিপি-র হার নামতে নামতে ইতিমধ্যেই গত ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হয়েছে। ভারত পারস্য উপসাগর থেকে বিরাট পরিমান তেল আমদানি করে। এই পরিমাণটা দৈনিক ৪৫ লক্ষ ব্যারেল। কিছুদিন আগে পর্যন্ত ইরান ছিল ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল সরবরাহকারী দেশ। ভারতকে অবশ্য তেল সরবরাহ করে আমেরিকাও কিন্তু তার জন্য ভারতকে গুন্তে হয় অতিরিক্ত খরচ। ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতি বাঁধলে ভারতকে যদি আমেরিকা থেকে তেল আনতে হয় তবে বাড়বে তেলের দাম।
একই কারনে বেড়েছে সোনার দামও । ভারতের বাজারে সোনার দাম ৪২ হাজারের কাছাকাছি। প্রতি ১০ গ্রাম ৪১ হাজার ৭৩০ টাকা। এই বর্ধিত দাম চোকাতে টান পড়বে ভারতের অর্থনীতিতে। হবে মুদ্রাস্ফীতি। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিশ হবে আকাশ ছোয়া।যাতে আরো নেমে যাবে ভারতের জিডিপি।
দেশে সোনার দাম বেড়ে যাওয়ায় স্বর্ণশিল্পিরা বহুদিন ধরেই সংকটে। তারা অন্য জীবিকার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেওয়া শুরু করেছেন আগেই। এবার বাকিদেরও নাভিশ্বাস উঠবে। একই হাল পরিবহনেও। তেলের দামের প্রভাব পড়বে ট্যাক্সি ড্রাইভার, গাড়ি কারখানার শ্রমিক, বাস ড্রাইভার ও কন্টাকটরদের ওপর। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামে ক্ষতি হবে ছোট ব্যবসায়ীদেরও।