বাংলা হান্ট ডেস্ক: রবিবার নানান ধরনের পদ খাওয়ার চল থাকে। ছুটির দিনে কি খাবেন ভাবছেন। আজকে আপনাদের এমন কিছু খাবারের খোঁজ দেব যা প্রাচীন ভারতে খাওয়া হত (Indian Food)।
ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী ৫ খাবার যা আজও সমান ভাবে জনপ্রিয় (Indian Food)
প্রাচীন কালে উচ্চ বংশ অথবা রাজাদের বাড়িতে নানান ধরনের খাবার খাওয়ার প্রচলন ছিল। সেই সময় এমন কিছু খাবার খাওয়া হত যা দেশের নানন জায়গায় পাওয়া যায়। অথবা সেই খাবার গুলো আজও সেই সকল জায়গাকে রিপ্রেজেন্ট করে। আজ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব সেইরকমই কিছু পুরনো দিনের ভারতীয় খাবারের (Indian Food) কথা।
১) ইডলি: ইডলি মূলত দক্ষিণ ভারতীয় খাবার। তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশের জাতীয় খাবার হিসাবে গন্য করা হয়। ইডলির মতো প্রাচীন খাবারের উল্লেখ পাওয়া যায় দশম শতাব্দীর কন্নড় ভাষায় “ভদ্দরাধনে” নামক একটি লেখা থেকে। ইডলি মূলত একটি ভাপানো খাবার। এটি আগেকার দিন খাওয়া হত। পাশাপাশি বর্তমানে ব্রেকফাস্টে এই খাবারটি চাটনির সঙ্গে খাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের দিন বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন ‘ত্রিবর্ণ স্যান্ডউইচ’, রইল দারুণ এই রেসিপিটি
২) পোঙ্গল: পোঙ্গল হল বহু পুরনো একটি খাবার। জানা যায় ফসল কাটার পর এক ধরনের উৎসব হয়। এটি মূলত সূর্যদেব ও সূর্যকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানটি তামিলনাড়ু মূলত দক্ষিণ ভারত ও শ্রীলঙ্কায় উদযাপন করা হয়। এই উৎসবের ভোজে এই খাবারটি পরিবেশ করা হয়। তবে আজকাল অনেকেই নিজেদের খাবারের চাটে পোঙ্গল রাখেন। পাশাপাশি এই খাবার শরীরের জন্য উপকারী।
৩) মাসর টেঙ্গা: এটি একটি অতি জনপ্রিয় অসমীয়া মাছের ঝোল। যেখানে মাসর কথার অর্থ হলো মাছ। ও টেঙ্গা কথার অর্থ হল টক। এটি অতি প্রাচীন ভারতের খাবার। এই রান্নাটা করার জন্য প্রথমে মাসর মাছ গুলোকে কেটে নিতে হবে। এরপর তেরে পেয়াজ আদা, লঙ্কা দিয়ে ভেজে টক ফল ও অন্যান্য মশলার যোগ করে দিতে হবে। এরপর ঝোল ফুটে উঠলে মাছগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করলেই তৈরি হয়ে যাবে মাসর টেঙ্গা।
৪) ধোকলা: ধোকলা মূলত গুজরাটের জনপ্রিয় খাবার। এটি খেতে স্পঞ্জি টেক্সচার ও সামান্য মিষ্টি। এটি সাধারণত চাল ডাল বা বেসনের গাঁজানো বাটা দিয়ে তৈরি করা হয়। এরপর এটিকে ভাপিয়ে নেওয়া হয়। এই খাবারটি ও বহু প্রাচীন একটি খাবার।
৫) খিচুড়ি: খিচুড়ি হল দক্ষিণ এশিয়ান খাবার। এটি প্রধানত চাল ডাল দিয়ে তৈরি করা হয়। এই রান্নাটি সহজে হয়। এছাড়াও এই খাবারের চল বহু প্রাচীনকাল থেকে ছিল। এটি বিভিন্নভাবে রান্না করা যায় এবং বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন উপাদান দিয়ে এই রেসিপিটি রান্না করা হয়।