বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে একটি অদ্ভুত প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। যখনই কোনো বিতর্কিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চারিদিক সরগরম হয়ে যাচ্ছে ঠিক সেই আবহেই সেইরকমই কিছু ঘটনার প্রসঙ্গ ক্রমশ সামনে আসে। ইতিমধ্যেই সীমা ও অঞ্জুর “প্রেমের কাহিনি” সামনে আসার পর থেকেই সীমান্তের ওপার থেকে একাধিক প্রেমের ঘটনা খবরের শিরোনামে উঠে আসছে। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা একজন ১৬ বছরের নাবালিকার প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব, যে প্রেমের কারণে পাকিস্তানে যাওয়ার ক্ষেত্রে অল্পের জন্য “অঞ্জু”-র মতো পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যেই রাজস্থান থেকে পাকিস্তানে পৌঁছনো অঞ্জুর কাহিনি এখন সমগ্ৰ দেশজুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। পাশাপাশি, প্রেমের টানে পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা সীমা হায়দারের বিষয়টিও এখন সবার জানা। তবে, এবার রাজস্থানের জয়পুরেও এমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছে। যেখানে বিমানবন্দর থেকে ভুল পদক্ষেপ নেওয়া এক কিশোরীকে আটকানো হয়েছিল। নইলে ভিসা-পাসপোর্ট ছাড়া পাকিস্তানে গিয়ে ওই কিশোরী বড়সড় বিপদের সম্মুখীন হত।
প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে লাহোর যাচ্ছিল ওই কিশোরী: মূলত, জয়পুর বিমানবন্দর থেকে যে ১৬ বছর বয়সী কিশোরী ধরা পড়েছে, সে পাকিস্তানে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ওই কিশোরীর প্রেমিকের নাম হল আসলাম লাহোরি। আসলামের সাথে তার ইন্সটাগ্রামে বন্ধুত্ব হয়েছিল। তারপরেই ক্রমশ তৈরি হয় প্রেমের সম্পর্ক। এদিকে, প্রেমের টানে শেষ পর্যন্ত ওই কিশোরী পাকিস্তানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রেম নাকি ষড়যন্ত্র: জানা গিয়েছে, কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিমানবন্দরে যাওয়ার পরামর্শ দেয় লাহোরি। তার কথা মেনেই ওই নাবালিকা বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সে পাকিস্তানের টিকিট চেয়েছিল। কিন্তু তার পাসপোর্ট বা ভিসা ছিল না। এরপর তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এই প্রসঙ্গে এয়ারপোর্টে থানার এসএইচও বলেছেন যে, সিকারের শ্রীমাধোপুরের বাসিন্দা ওই কিশোরী পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য কোনো নথি ছাড়াই গত শুক্রবার জয়পুর বিমানবন্দরে পৌঁছেছিল।
পাশাপাশি, জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে কিশোরী জানায় ইন্সটাগ্রামে পরিচয় হওয়া এক যুবকের সাথে দেখা করতে পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে এসেছিল সে। তার কাছে কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না। এমনকি, জয়পুর থেকে পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য এমনিতেও কোনো বিমান চলাচল করে না। এমতাবস্থায়, ওই কিশোরীর পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়।
এক বছরের বন্ধুত্ব: মেয়েটি পুলিশকে জানিয়েছে, গত এক বছর ধরে দু’জনের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। তবে, এই অনলাইন প্রেমের ঘটনায় ছেলেটি ওই কিশোরীকে কোথায় কি কি বলতে হবে তা শিখিয়ে দিয়েছিল। এমনকি, পাকিস্তানে আসার পর ওই কিশোরীর সব খরচ সে বহন করবে বলেও জানায়। মেয়েটি আরও বলেছে যে, সে সীমা হায়দার বা অঞ্জুর ঘটনায় অনুপ্রাণিত হয়ে এই ঘটনা ঘটায়নি। তবে, এখন পুরো বিষয়টি পুলিশ ও তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করবে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই বলছেন যে, এই ধরণের ঘটনা আসলেই প্রেম নাকি কোনো ষড়যন্ত্র তা বলা মুশকিল!