বাংলাহান্ট ডেস্ক : বড় ঘোষণা কেন্দ্রীয় সরকারের। দিল্লিতে ১১০০ রোহিঙ্গা (Rohingya) শরনার্থীকে সরকারি ঘর দেবে ভারত সরকার। জানা যাচ্ছে, মোট ২৫০ টি ঘরে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে। ওই ২৫০ টি ঘরে মোট ১১০০ জন থাকতে পারবেন। এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় আবাসমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী (Hardeep Singh Puri)। এই নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরনার্থীদের দিল্লির ইডাব্লুএস-এর ফ্ল্যাটে ঘর দেওয়া হবে। তাঁদের প্রাথমিক সুবিধা দেওয়া। ইউএনএইচসি পরিচয় পত্র দেওয়া হবে। দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) ২৪ ঘন্টা তাঁদের সুরক্ষার জন্য তৈরি থাকবে।
আবাসমন্ত্রী হরদীপ সিং আরও বলেন, ‘ভারত সবসময় সেই সমস্ত মানুষের পাশে থেকেছে যারা ভারতের কাছে আশ্রয় চেয়েছে। যা ভারতের শরণার্থী নীতির কথা জানার পরও সিএএ-র সঙ্গে এটিকে জুড়ে নিজেদের আখেড় গুছিয়েছে তারা এই খবর শুনে নিরাশ হবেন। ভারত ইউএন শরণার্থী সম্মেলন ১৯৫১ কে সম্মান করে এবং প্রতি মুহুর্তে অনুসরণ করে চলে। ভারত চিরকালই জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষকে আশ্রয় দিয়ে এসেছে। আর ভবিষ্যতেও দেবে।’
জানা যাচ্ছে, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দিল্লির মুখ্য সচিবের একটি বৈঠকে। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দিল্লি পুলিশের আধিকারিক এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিকরাও। একজন সিনিয়র আধিকারিক জানান, মদনপুর এলাকার প্রায় ১১০০ রোহিঙ্গা বসবাস করে। তাঁদেরকে দিল্লি শহরের ভিতরে বক্করওয়াল এলাকায় রাখা হবে। এখানে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য ২৫০ টি বিনামূল্যে ফ্ল্যাট তৈরি করা হয়েছে। সেই ফ্ল্যাটই হবে রোহিঙ্গাদের নতুন ঠিকানা।
এর আগে জুলাই মাসে একটি বৈঠক হয় এই বিষয়ে। জানা যাচ্ছে, রোহিঙ্গা বস্তিতে আগুন লেগে যায়। তারপর তাঁদের সরিয়ে এনে যেখানে রাখা হয় সেখানে ত্রিপল বাবদ সরকারের খরচ হচ্ছে মাসে ৭ লক্ষ্য টাকা। এরপরই সরকার এই সিদ্ধান্ত নেয়।
এদিনের বৈঠকে দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ওই ফ্ল্যাটগুলিতে যাতে সুরক্ষার কোনও কমতি না থাকে। দিল্লি সরকারের সামাজিক বিকাশ মন্ত্রক ওই ফ্ল্যাটগুলিতে পাখা, তিন বারের খাবার, ল্যাণ্ড লাইন ফোন, টিভি জাতীয় সমস্ত সুবিধা দেবে। প্রসঙ্গত, করোনা মহামারি সময় রোগীদের আইসোলেশনের জন্য এই ফ্ল্যাটগুলি ব্যবহার করে দিল্লি সরকার। জানা যাচ্ছে, রোহিঙ্গাদের এই ইডাব্লুএস ফ্ল্যাটে পুনর্বাসন দেওয়ার জন্য দিল্লি সরকারের বিভিন্ন দফতর সাহায্য করবে।