বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারত (India) সরকার পাম তেলের বিষয়ে এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের মোতাবেক ভারত সরকার প্রায় ৩ লক্ষ টনের বেশি রিফাইন পাম তেলের (Palm oil) আমদানি বন্ধ করে দেন। দক্ষিণ এশিয়ার মুক্ত ব্যবসার সমঝোতা বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে ভারত সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পাম তেলের আমদানি রোধ করল ভারত সরকার
পাম তেল বিষয়ক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে, এতকাল যাবত পাম তেল বিক্রির জন্য নেপাল এবং বাংলাদেশকে কোন রূপ আমদানি শুল্ক দেওয়ার প্রয়োজন হত না ভারতের। কিন্তু বর্তমানে ভারত দক্ষিণ এশিয়ার মুক্ত ব্যবসার বিষয়ে কোন রকম নিয়মের উলঙ্ঘন করতে নারাজ। কারণ এই সমঝোতার জরুরী শর্ত মোতাবেক নেপাল এবং বাংলাদেশ পাম তেলের উৎপাদন করত না। সেই কারণে ভারত সরকার, তেল রপ্তানির মতো কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে।
পাম তেল, মশলা এবং টায়ারসহ দ্রব্য আমদানি
সাফটা সমঝোতার অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন দেশ অন্য দেশ থেকে আমদানিকৃত দ্রব্যের জন্য অনেক কম আমদানী শুল্ক দেয়, আবার কোন দেশ বিনা শুল্কেই দ্রব্য আমদানি করে। বিশেষত পাম তেল, মশলা এবং টায়ারসহ বিভিন্ন বস্তুর উপর এতদিন ধরে কোন আমদানি শুল্ক দেওয়া হত না।
মুনফা লোভীদের বিরুদ্ধে ভারত
এই দেশগুলো থেকে আমদানিকৃত বস্তুতে সমস্যা দেখা দেয়। কারণ ওই দেশগুলো নিজেরা ওইসব বস্তু উৎপাদন করত না। কিন্তু লোভী ব্যবসায়ী নিজেদের দ্রব্য এই দেশগুলোর মাধ্যমে ভারতে বিক্রির চেষ্টা করত। যাতে করে আমদানি শুল্কের ছাড় তারা পেতে পারে।
কিন্তু বর্তমানে ভারত সরকার রিফাইন তেলের আমদানি বন্ধ করে দেন। যার ফলে দেশীয় রিফাইন তেলের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। ভারতের বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বহুবছর ধরে এই দক্ষিণ এশিয়ার মুক্ত ব্যবসার নিয়মের উলঙ্ঘন রোধ করতে এই পদক্ষেপ খুবই জরুরী ছিল। নাহলে কিছু মুনফা লোভী মানুষ ভারতের ক্ষতি করে যাচ্ছিল। আশা করা যাচ্ছে করোনা সংকটের মধ্যেই ভারত আত্মনির্ভর হয়ে উঠতে পারবে।