বাংলাহান্ট ডেস্ক : সব দিক দিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীকে (Indian Navy) সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগী হল কেন্দ্রীয় সরকার। আগেই জানানো হয়েছিল, অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আরো বাড়ানো হবে নৌবাহিনীর (Indian Navy) শক্তি। এবার আরো এক ধাপ এগিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে সাক্ষর করা হল বিশেষ চুক্তি। বৃহস্পতিবার সরকারি সংস্থা ভারত ডায়নামিক লিমিটেড এর সঙ্গে ২৬৯০ কোটি টাকার একটি চুক্তি সাক্ষর করল ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
ভারতীয় নৌবাহিনীর (Indian Navy) শক্তি বাড়াতে সাক্ষর চুক্তি
এদিন ভারতের প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিং এর উপস্থিতিতে সাক্ষর করা হয় এই চুক্তি। এই চুক্তি অনুযায়ী, ভারতীয় নৌবাহিনীর (Indian Navy) জন্য ৭০ টিরও বেশি ভূমি থেকে ভূমিতে নিশানা চালাতে সক্ষম মাঝারি পাল্লার এমআর-স্যামস ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ করবে এই সরকারি সংস্থা। জানা গিয়েছে, ভারতীয় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে ইজরায়েলি প্রযুক্তিতে যৌথ ভাবে তৈরি হবে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি।
কী বলা হয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে: এই চুক্তির বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, এই চুক্তিটিকে ‘ক্রিটিক্যাল মাইলস্টোন’ বলা যায়। আসলে ভারতের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে শুধু নৌবাহিনীই (Indian Navy) নয়, সমগ্র সামরিক শক্তিকেই আরো মজবুত করে তুলতে চাইছে সরকার। আর সেই লক্ষ্যে এই উদ্যোগ এক বড় পদক্ষেপ হতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন : ছোট্ট বয়সে অভিনয়ে পা, এবার বড়পর্দায় ডেবিউ করছেন জি এর জনপ্রিয় নায়ক
সব বাহিনীতেই রাখা হচ্ছে এই ক্ষেপণাস্ত্র: ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওই আধিকারিক আরো বলেন, দেশের অধিকাংশ যুদ্ধ জাহাজেই এখন এই এমআর-স্যামস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাপনা মজুত রাখা হয়। আগামী দিনে এই ব্যবস্থা আরো বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, ভারতের ডিআরডিও এবং ইইজরায়েল এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের মধ্যে বহু বছর আগে একটি চুক্তি হয়েছিল, যার মূল্য ছিল ৩৯ হাজার কোটি টাকা। সেই চুক্তি অনুযায়ী, নৌসেনার (Indian Navy) পাশাপাশি ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং নৌসেনাতেও এমআর-স্যামস ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরো পড়ুন : বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতেই “গোপন” সম্পর্ক ‘রাণীমা’র, নতুন প্রেমিকের পরিচয় ফাঁস করলেন দিতিপ্রিয়া!
ভারতীয় নৌবাহিনীতে (Indian Navy) আইএনএস বিক্রান্তে রয়েছে এই ব্যবস্থাপনা। এছাড়াও আইএনএস সুরাট, তিনটি কলকাতা-ক্লাস ডেস্ট্রয়ার এবং চারটি বিশাখাপত্তনম-ক্লাস ডেস্ট্রয়ার জাহাজেও রয়েছে এই ব্যবস্থাপনা। এদিকে ২০২৩ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে তাদের প্রথম ‘অভ্র’ এমআর-স্যামস রেজিমেন্ট চালু করা হয়েছে। সিকিমে চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলা এবং শিলিগুড়ি করিডরে রয়েছে এই ব্যবস্থাপনা। শত্রুর যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, ইউএভি, সাবসনিক, সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল থেকেও এই ক্ষেপণাস্ত্র সুরক্ষা দেবে বলে জানানো হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে।